ফের ইউটিউবের জরিমানা ১৭ কোটি ডলার

0
330

খুলনাটাইমস আইটি: শিশুদের গোপনীয়তা নীতিমালা অমান্য করায় ইউটিউবকে রেকর্ড ১৭ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) সঙ্গে মীমাংসায় জরিমানা দিতে রাজি হয়েছে ইউটিউবের মালিক প্রতিষ্ঠান গুগল। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবা-মায়ের সম্মতি ছাড়াই ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের ডেটা সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে ইউটিউবের বিরুদ্ধে। এফটিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ডেটা ব্যবহার করে শিশুদেরকে লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছিলো, যা ১৯৯৮ চিলড্রেন’স অনলাইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন অ্যাক্ট (কোপপা) অমান্য করছে। এফটিসি চেয়ারম্যান জো সিমন্স বলেন, “এই আইন অমান্য করায় ইউটিউবের কোনো অজুহাত নেই। সিমন্স আরও বলেন কোপপা মানার বিষয়ে গুগল অস্বীকার করছে যে মূল ইউটিউব সেবার একটি অংশ শিশুদের জন্য। কিন্তু ব্যবসায়িক গ্রাহকদের কাছে উপস্থাপনায় তারা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে। উদাহরণ হিসেবে এফটিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, “শীর্ষস্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ৬ থেকে ১১ বছরের শিশুদের নাগালে পৌঁছাতে ইউটিউব এখন সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।” ইউটিউব কিডস নামের ভিন্ন একটি অ্যাপে নিয়মিতভাবে কনটেন্ট পর্যালোচনাও করে প্রতিষ্ঠানটি। এফটিসিকে গুগল জরিমানা দেবে ১৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার, যা কোপপা মামলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বাকি ৩.৪ কোটি ডলার দিতে হবে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যকে। এফটিসির পাঁচ কমিশনারের মধ্যে একজন রোহিত চোপড়া বলেন, তার মনে হয় মামলা মীমাংসা যথেষ্ট হয়নি। ইউটিউবে শিশুদের ছড়া এবং কার্টুনের ভিডিও দিয়ে “টোপ” ফেলেছে গুগল। টুইটারের চোপড়া আরও বলেন, যে জরিমানা করা হয়েছে তা “খুব সামান্য প্রভাব ফেলবে” এবং ইউটিউবে যে পরিবর্তনগুলো আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা “যথেষ্ট নয়”। মামলা মীমাংসার অংশ হিসেবে গুগলকে একটি ভিন্ন ব্যবস্থা বানাতে হবে, যাতে শিশুদের জন্য কনটেন্টগুলো স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা থাকবে। এক বøগ পোস্টে ইউটিউব প্রধান সুজান ওজসিকি বলেন, “স্পষ্টভাবে শিশুদের জন্য বানানো কনটেন্ট” স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত ও লেবেল করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করবে ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটটি। শিশুদের চরিত্র, খেলনা এবং গেইমের মতো বিষয়গুলোতে জোর দেওয়া হবে। শিশুদের জন্য যারা কনটেন্ট বানাবেন তাদেরকে জানানো হবে তার ভিডিওটি কোপপা আইনের আওতায় পড়তে পারে, এমনটাও জানিয়েছে এফটিসি। তথ্য জোগাড়ের বিষয়ে জানাতে গুগল এবং ইউটিউবকে আরও উন্মুক্ত হতেও বলা হয়েছে। বাবা-মায়ের সম্মতিতেই শিশুরা যাতে ভিডিও দেখে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইউটিউব পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান। শিশুদের ভিডিও থেকে নেওয়া ডেটা দিয়ে বিজ্ঞাপন টার্গেট করা বন্ধ করা হবে। “চার মাসের মধ্যে শিশুদের ভিডিও কনটেন্ট থেকে যে ডেটাগুলো আসছে আমরা ধরে নেবো তা শিশুদের থেকেই আসছে, গ্রাহকের বয়স যাই হোক না কেনো,” বলেন ওজসিকি। “তার মানে আমরা ডেটা সংগ্রহ সীমিত করবো এবং শুধু শিশুদের বানানো ভিডিওগুলো সমর্থন করতে যতটুকু দরকার ততোটুকু ডেটাই ব্যবহার করা হবে।”