ফুটবলে বর্ণবাদ নিয়ে ফিফার ভূমিকার প্রশ্ন তুললেন তোরে

0
287

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : বার্সেলোনা ও ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক মিডফিল্ডার ইয়াইয়া তোরে বলেছেন ফুটবলে বর্ণবাদী বৈষম্যের বিপক্ষে ফিফা কোন কাজই করছে না। বুলগেরিয়ায় ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বের ম্যাচে দর্শকদের বর্ণবাদী আচরণের কারনে ম্যাচটি বিঘ্নিত হলেও ইংল্যান্ড কেন মাঠ থেকে বের হয়ে আসলো না সেই বিষয়টিও তিনি সামনে নিয়ে এসেছেন। সপ্তাহের শেষে কিংডাও হুয়াংহাই ক্লাবটি চাইনিজ সুপার লিগে উন্নীত হবার পর ৩৬ বছর বয়সী তোরে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বর্ণবাদ নিয়ে এই মন্তব্য করেন। মাসের মুরুতে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে সোফিয়াতে ইংল্যান্ডের কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়রা পুরো ম্যাচেই সমর্থকদের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন। ম্যাচটিতে ইংল্যান্ড ৬-০ গোলে জয়ী হয়। এমনকি সমর্থকদের বিরুপ আচরণের কারনে প্রথমার্ধে দুইবার খেলাটি বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরেও ম্যাচটি শেষ না করে মাঠ থেকে বের হয়ে আসেনি ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। ফুটবলে বর্ণবাদী সমস্যা নিয়ে তোরে সবসময়ই প্রকাশ্যে কথা বলে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই লজ্জার। কেন ইংল্যান্ড ম্যাচটিতে খেলতে রাজী হলো। সবাই অনেক কথা বলে, কিন্তু কার্যত কিছুই পরিবর্তিত হয়না।’ তবে চারবারের আফ্রিকান বর্ষসেরা খেলোয়াড় সবচেয়ে বেশী ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থার ভূমিকা দেখে। আইভরি কোস্ট জাতীয় দলের সাবেক এই খেলোয়াড়ের মতে, ‘ফিফা আসলে বিষয়টি নিয়ে কোন চিন্তাই করেনা। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি চলে আসলেও তা বন্ধ হচ্ছেনা। কখনই আমি এটা বলতে পারিনা যে আমি চিন্তিত নই।’ ঘরের মাঠ এবং ঘরের বাইরে যেকোন মাঠে বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে সবচেয়ে কথা বলেছেন ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড রাহিম স্টার্লিং। কিন্তু স্টার্লিংয়ের সাবেক সিটি সতীর্থ তোরে মনে করেন এটা যথেষ্ঠ নয়। তার মতে খেলোয়াড়দের বিষয়টি নিয়ে আরো বেশী সোচ্চার হবার সময় এসেছে। তোরে বলেন, বিশ্বের সকল খেলোয়াড়েরই বিষয়টিতে আরো বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। নাহলে একসময় এমন পরিস্থিতি হবে বর্ণবাদের কারনে খেলোয়াড়রা মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হবে।’ যদিও তোরের এই মন্তব্যের পর ফিফা তাৎক্ষনিকভাবে কিছু বলতে রাজী হয়নি বলে এএফপি জানিয়েছে। চাইনিজ লিগে খেলতে এসে এখানকার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তোরে বলেন, ‘এখানে আমি যখন খেলতে নামি তখন কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে আমাকে আলাদা চোখে দেখা হয়না। এখানকার মানুষ সবাইকে শ্রদ্ধা করে, এখানকার সংস্কৃতিও ভিন্ন। কিন্তু ইউরোপে কেউ কাউকে শ্রদ্ধা করেনা।’