ফরহাদ খুনে জড়িত ৫ ভাড়াটে কিলার গ্রেফতার

0
490

টাইমস্ ডেস্ক:

রাজধানীর বাড্ডা এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হোসেন খুনে জড়িত পাঁচ ভাড়াটে কিলারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর মিরপুর ও গুলশান এলাকা থেকে তাদের আটক গ্রেফতার হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে ডিবি উত্তরের টিম। গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, আজ শনিবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে। এদিকে ৪ জুলাই দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর বাড্ডায় ডিবি পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নুরুল ইসলাম ওরফে কিলার সানি (২৮) ও অমিত ওরফে কিলার দাদা (৩৫)। ওই দু‘জনই ফরহাদ হোসেন হত্যার সন্দেহভাজন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার মশিউর রহমান। ওই দিন তিনি বলেছিলেন, সিসিটিভির ফুটেজে ফরহাদ হত্যার পর দু’জনকে অস্ত্র হাতে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই লাল গেঞ্জি পরিহিত যুবকটি ছিল সানি। অন্য যুবক অমিত ভারতে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী আশিক ও আমেরিকায় পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী মেহেদীর সহযোগী বলে তথ্য মিলেছে। উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন দুপুরে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার আলীর মোড় এলাকার পূর্বাঞ্চল ১ নম্বর লেন সংলগ্ন বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন। নামাজ শেষে বেরিয়ে আসার পরই দুইজন দুর্বৃত্ত তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় মুসুল্লিদের সহযোগিতায় তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মশিউর রহমান ওই দিন আরও বলেছিলেন, বাড্ডা এলাকার লেগুনা, ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ এবং গরুর হাটে চাঁদাবাজির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে ফরহাদ হোসেনকে হত্যা করা হয়। একাধিক গ্রুপ সেদিন অস্ত্রসহ ওই এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল। অস্ত্রধারী শুটার ছিল ছয়জন। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কেউ কেউ ঢাকা বা দেশের বাইরেও চলে গিয়েছিল।