ফকিরহাটে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

0
343

ফকিরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের ৭ নং খাজুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানব্রেন্দ চৌধুরীর বির”দ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে অনুসন্ধ্যানে গিয়ে দেখা গেছে সরকার কর্তৃক উন্নয়নের জন্য সর্বমোট ২,১৫,০০০ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রধান শিক্ষক মানব্রেন্দ চৌধুরীর ভাষ্যমতে,রং ক্রয় ও মজুরী বাবদ ৬০,০০০ টাকা খরচ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রংর মিস্ত্রি জসিম শেখ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমাকে প্রধান শিক্ষক রং কিনে দিয়েছিলেন। আমাকে মজুরী দিয়েছিলেন ১০,০০০ টাকা । প্রধান শিক্ষকের ভাষ্যমতে তিনি রং মিস্ত্রিকে দিয়েছেন ১২,০০০ টাকা যেখানে রং মিস্ত্রির ভাষ্য তাকে ১০,০০০ টাকা মজুরী দেওয়া হয়েছে। এদিকে রং কেনা বাবদ ৫০,০০০ হাজার টাকা খরচ দেখানো হলেও রং মিস্ত্রির ভাষ্যমতে রং সর্বসাকুল্যে ১০,০০০ টাকার বেশি হবেনা। অর্থাৎ শুধুমাত্র স্কুলের রং এর খাতে থেকে ৪০ হাজার টাকা আত্বসাৎ করেছে। তাছাড়া মোট ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে সর্বসাকুলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কাজ হয়েছে বাকি টাকা প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিলে আত্বসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেঠে। স্থানীয় জনগনের ভাষ্যমতে বিদ্যালয়ের কোন কাজে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজের মত করে কাজ করেন এই প্রধান শিক্ষক । বিদ্যালয়ে পাইপ লাইনের কাজ আসলেও সেই পাইপ লাইনের ও কোন হদিস পাওয়া যাইনি। স্থানীয় মোঃ ডালিম হাওলাদার এর বরাতে জানা যায় ,বিদ্যালয়ে পাইপ লাইনের কাজ আসে কিন্তু আমাদের এষানকার ইউপি সদস্য আলী আহম্মদ ও প্রধান শিক্ষকের যোগশাযোশে সেই কাজ কাগজে কলমে হলেও বাস্তবে হইনি ,পাইপ লাইনের পুরো অর্থই ইউপি সদস্য আলী আহম্মদ আত্মসাৎ করেছে। জাহিদ মোল্লা নামের স্থানীয় একজন সাংবাদিকদের বলেন, এই বিদ্যালয়ের ২ টনের একটি কাজ আছে যেখানে র”ম হয়েছে কিন্তু আজো প্লাষ্টার হইনি আর যে টিন ব্যাবহার করা হয়েছে তা পুরাতন টিন । স্থানীয় আলাউদ্দিন শেখ বলেন, প্রধান শিক্ষকের দুর্নিতীর চিত্র চোখ মেললেই দেখা যাচ্ছে তিনি লুকানোর চেষ্টা করলেও লাভ হবেনা। প্রধান শিক্ষক মানবেন্দ্র চৌধুরীর কাছ থেকে খরচের হিসাব বা বিল ভাউচার দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি তবে এখন যেহেতু জানতে পেরেছি সেহেতু আমি সত্যতা যাচায়ের জন্য তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করাবো। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এব্যাপারে কোন অবিযোগ পাইনি তবে যদি সতত্য পেয়ে থাকি তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।