ফকিরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাটে ৪ কন্যা সন্তানের জননী বিধবা নারী ভাসুরের শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন সহ টাকা পয়সা আত্মসাৎ এর প্রতিবাদে ফকিরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সোমবার সকাল ১০ টায় ফকিরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় কান্না জড়িত কন্ঠে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইশরাত সুলতানা নামের অসহায় বিধবা নারী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাড়ি মূলঘর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামে এবং স্বামী মৃতঃ ফজলে আক্তার মিজান। আমার ৪ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান। ছেলে ২০১৩ সালের ২৩শে নভেম্বর সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে।আর আমার স্বামী ২০১৫ সালের ১৪ই জুন ফকিরহাট বিশ্বরোড মোড়ে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধী অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে ৯ দিন পরে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা আমার স্বামীর মেঝো ভাই ফজলে রহিম জিন্নাহ এর কাছে প্রদান করে যা আমাদের অজানা ছিল। পরে বিষয়টি জানার পর সেই অর্থ চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার স্বামীর মৃত্যুর ৪/৫ দিন পর থেকেই ফজলে রহিম জিন্নাহ আমাকে জোর পূর্বক দলিলে সই করাতে চায়, যে দলিলটি ছিল সম্পত্তি ছিনিয়ে নেবার। আমি সই করতে অস্বীকার করলে আমাকে প্রতিনিয়ত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার স্বামী মৃত্যুকালে ৪ কন্যা সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করেন। ৪ কন্যা সন্তানের ২ জনের বিবাহ হয়েছে আমার স্বামী জিবিত থাকাকালীন। আর ২ কন্যা সন্তানের একজন ক্লাস নাইনে আরেকজনের বয়স সাড়ে ৪ বছর। এমতাবস্থায় আমি আমার মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। রাতে আমরা ঘুমালে ফজলে রহিম জিন্নাহ প্রায় ঘরের দরজা জানালায় ঢিল ছুড়ে মারে এতে আমরা আতরে উঠি। শুধু তাই নয় যখন প্রয়োজনে বাহিরে যায় তখন ঘরের সামনে গরু বেঁধে রাখে, ঘরের ভিতর গোবর ও ধুলাবালিতে পরিপূর্ণ করে রাখে।কিছুদিন আগে আমার ছোট মেয়ে আসওয়াত ফাতিমাকে গুম করে আমাকে জোর করে দলিলে সই করার পায়তারা চালাই। আমার বাসায় কোন মেহমান বা মেয়ে জামাই আসলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে সে।এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় অভিযোগ করি, যার পরিপ্রেক্ষিতে জিন্নাহকে থানায় ডাকা হয়, থানায় তাকে কেনো ডাকা হলো তার জবাবদিহিতা চাই পুলিশের কাছে।একপর্যায়ে পুলিশের সাথে তর্কে জড়িয়ে যায় এবং অভিযোগের বিষয়টি সন্দেহতিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে ৫৪ ধারায় চালান দেয় ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশ। এর পরে আদালত থেকে জামিনে এসে তার অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে যেটা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীন ভাবে দূর্বীসহ জীবন যাপন করছি। সেই সাথে আমি জোর দাবি জানাই যে অর্থ আত্মসাৎ করেছে, সেই অর্থ যাতে আমি ফেরত পাই এবং আমি যেন আমার মেয়েদের নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারি আপনাদের মাধ্যমে সেই সহযোগীতা পাওয়া সহ ন্যায্য বিচারের আশায় এই সংবাদ সম্মেলন করলাম।
