প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় বাধভাঙ্গা উচ্ছাস ছিল ল্যাবরেটরি স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তীতে

0
791

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা) প্রতিনিধি :
ঐতিহ্যবাহী খুলনা গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ৫০ বছরপুর্তিতে দুই দিনব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপনের গতকাল রবিবার বর্ণাঢ্য ও জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় উৎসবমুখর ও আনান্দঘন পরিবেশে সুবর্ণ জয়ন্তী পরিনত হয় মহা মিলনমেলায়। দই দিনব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আলমগীর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মহিবুল হক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিনা হক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আফরোজা বেগম, বিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী ফরিদা ইয়াসমিন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ কবির আলম খান, যোগীপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমান। সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপন কমিটির আহবায়ক কাজী আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ১৯৭১ ব্যাচ থেকে শুরু করে ২০১৭ সালের ব্যাচের প্রতিনিধিগণ এ সময় স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন, সৈয়ধ নওশাদুজ্জামান পল্টু, হাবিবুর রহমান, মাষ্টার মনিরুল ইসলাম, মোঃ ইমলাক ঢালী, সৈয়দ মোজাম্মেল হক, নাসিরউদ্দিন ধনী, শেখ আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ বাশির হোসেন, রানা মাষ্টার, মোঃ মহিউদ্দিন, কাজী ফরাদুল ইসলাম, কজী জালাল উদ্দিন, শহিদুজ্জামান পন. আলহাজ্জ মোড়ল আনিছুর রহমান, মোস্তাক আহম্মেদ, মনির সিকদার, শেখ গাউস হোসেন, আবু হানিফ সোহেল, কামাল আহেম্মদ প্রমুখ । সুবর্ণ জয়ন্তীতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারেষ্টার, বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাহিনীর কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন পেশার সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অংশগ্রহন করে শৈশব বিজড়ীত স্কুূল প্রাঙ্গনে মহা মিলন মেলায় একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আযোজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। সামাপণী দিনে স্কুলের প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারন করে বক্তৃতা প্রদান করেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত, সুবর্ণ জয়ন্তী পতাকা উত্তোলন এবং সুবর্ণ-জয়ন্তী সংগীত ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংগীতের মধ্যে দিয়ে শুভ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর বিদ্যালয়ের প্রায়াত শিক্ষক-শিক্ষিকা,ছাত্র-ছাত্রীদের সমবেদনা জ্ঞাপন করে শোক প্রস্তাবে করে দাড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। পরে সকাল ১১টায় রের করা হয় বর্ণাঢ্য আনান্দ শোভাযাত্রা । সন্ধ্যায় জমকালো আতোষবাজী এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দুই দিনব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের সমাপণী অনুষ্ঠিত হয়।