প্রসঙ্গত: সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার, নৈতিকতা এবং করোনা দুর্যোগময় সময়ে আমাদের করণীয়

0
611

সারোয়ার আহমেদ সালেহীন:
বতর্মানে সারা বিশ্ব কোভিড-১৯ নামক এক মারাত্মক ভাইরাস সংক্রমণের সাথে যুদ্ধ করছে। আজ পযর্ন্ত প্রায় পয়তাল্লিশ হাজার মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে প্রায় আট লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আমরাও এ কোভিড ভাইরাস আক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকিতে আছি। ইতিমধ্যে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এর সাথে টিকে থাকার লড়াইয়ে সবাই লিপ্ত হয়েছি। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার (প্রশাসন, ডাক্তার, পুলিশ, আর্মিসহ অন্যান্য) পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সমন্বয় করে নিরলসভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
অথচ সমাজের এক শ্রেণির স্বার্থান্বেশী লোকজন সামান্য ত্রæটি বিচ্যুতিকে বিশালভাবে প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়া সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে এক ধরনের বিকৃত মানসিকতার পাশাপাশি নিজেদের অসহিষ্ণু আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।
আমরা দেশ হিসেবে যতই উন্নত হচ্ছি মানুষ (সবাই না। কিছু সংখ্যক) হিসেবে আমাদের স্বার্থপরতা এবং নীচু মনমানসিকতার ততই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে। আমরা কি পছন্দ করি? কি করি না। কেন পছন্দ করি বা কেন করিনা সেটাই জানিনা। আর অন্যের প্রতি সন্মানবোধ?! সেটা তো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। পেশা ভিত্তিক জেলাসি এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যা সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষাপটে লক্ষ্য করা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে আমরা যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি তখন এ সমস্যা যেন প্রকট আকার ধারণ করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা যে যা পারছি তাই প্রকাশ করছি। না মানছি কোন আইন, না মানছি কোন ইথিক্স। কে কাকে কিভাবে বাঁশ দিবে বা হেয় করবে অথবা ক্ষেত্র বিশেষে তৈল মর্দন করবে আমরা সে প্রতিযোগিতায় নগ্নভাবে লিপ্ত হয়েছি। আমরা নিজেরা নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা পারিবারিক ঐতিহ্য কোন কিছু না ভেবে অন্যের নগ্ন সমালোচনায় সীমাহীন নির্লজ্জভাবে মেতে উঠেছি। অন্েযর সন্মানের কথা তো ধর্তব্যের মাধ্যই নেই। নিজেদের অনেক উচুতে মেলে ধরার আপ্রান প্রয়াসে নিজের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব এমনকি শুভাকাঙ্খীকে ছোট বা হেয় করতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা বোধ করছিনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমাজের সবচেয়ে শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত উভয় শ্রেনীর (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) লোকজনের ভাষা জ্ঞান প্রয়োগ এবং কষ্ট ফ্রি বিতরণই এর প্রমাণ। না মানছি এর ব্যবহারের কোন নীতিমালা, না মানছি অন্যের সন্মান সুরক্ষার আইন এবং না মানছি নীতি-নৈতিকতার কোন স্ট্যান্ডার্ড। নৈতিকতার এ অধঃপতন সমাজের প্রত্েযকটি ক্ষেএেই পরিলক্ষিত যা ভবিষ্যৎ সম্প্রদায়ের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলেই প্রতীয়মান হয়। ছোট্র একটি দেশে এ বিশাল জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই আজ এ ব্যধিতে আক্রান্ত।
অথচ এটা কখনও কাম্য নয় যদি কেউ নিজেকে সন্মান করে, নিজের পেশাকে সন্মান করে অথবা নিজের সম্প্রদায়কে সন্মান করে। সর্বোপরি নিজের দেশকে সন্মান করে। আমাদের মধ্যে কি এ ধরনের অনুভূতি আছে? জানি না কয়জনের আছে। ছোট্ট এ দেশে খোঁজ নিলে দেখা যাবে অনেকেই অনেকের সাথে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। অথচ আমরা ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য আমাদেও বৃহত্তর স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছি। শ্রেণি বিবাদ বা শ্রেণি বিদ্বেষ একটি ভয়ংকর রোগ যা সংক্রমণের মতো সমাজকাঠামোয় ছড়িয়ে পড়ে এবং সবাইকে আক্রান্ত করে। আজ আমি যাকে বা যে শ্রেণি বা পেশাকে আক্রমণ করছি কাল আমি নিজে আক্রান্ত হবোনা এর কি গ্যারান্টি আছে। আমরা হয়ত ভবিষ্যতে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অগ্রীম আক্রমণ করছি কিনা? আমরা নিজেরাও সেটা জানি না।
দেশের বাহিরে দুবছর থাকার স্বল্প অভিজ্ঞতায় দেখেছি আমাদের এ স্বভাব বিদেশে গেলেও একেবারেই পাল্টায় না যা সহজেই বিদেশীদের চোখেও পড়ে। এবং সেটা তখন ব্যক্তি থেকে হয়ে উঠে দেশের ইমেজের বিষয়। তবুও আমরা থামিনা। আমরা দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যেতে থাকি। সবচেয়ে এটা আমাদের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই বলা যায়। এটা যদি ফলপ্রসূ কাজে ব্যবহার করা যেত তবে হয়তো অনেক আগেই আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারতাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের আলোচনা সমালোচনা পৃথিবীর আর কোথাও হয় বলে আমার অন্তত জানা নাই।
এ ধরনের মনমানসিকতার কারণ কি? এটা কি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হার ত্রæটি না সামাজিক অবক্ষয়? আমাদের সমাজ বিজ্ঞানীদের এর কারণ খুজে করা এখন সময়ের দাবি। অবশ্য সময় অনেক চলে গেছে।
একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এ অবস্থা বা এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয় মেনে নেয়া কষ্ট করই বটে।অথচ আমাদের সোনালী অতীত ইতিহাস দেখলে এত অধঃপতন কখনোই পরিলক্ষিত হয়নি।দেশের উন্নয়নে একতাবদ্ধ চিন্তা ভাবনা এবং অন্যকে সন্মান জানানোর মানসিকতাই পারে আমাদের উন্নত ভবিষ্যতের সোপানে নিয়ে যেতে। আর বিনা পয়সার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সর্তকতা এবং সর্বোপরি নিজের প্রতি,পরিবারের প্রতি ভালোবাসা আমাদের এ সামাজিক অবক্ষয় হতে রক্ষা করতে পারে।
আমাদের মাএাজ্ঞান এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আমরা লিঙ্গ ভেদে যে সন্মানবোধ সেটাও ভুলে যাই।কেউ অপরাধ করুক বা নাই করুক অথবা ইচ্ছে করে করূক বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে করুক সেটা বিচার্য হয়না যদি সেটা অপছন্দের কোন ব্যক্তি বা শ্রেণি পেশার কেউ করে থাকে। এমনকি ক্ষমা চাওয়ার পরও সে বর্বরতা অব্যহত থাকে।ক্ষমা করার ওদার্য্য তখন একে বারেই লোপ পায়। কি বিচিত্র আমাদের বিচার।আমরাই বিচার প্রার্থী, আমরাই উকিল,আমরাই পুলিশ এবং সেখানে আমারই বিচারক।আজব সব কর্মকাÐ। এ সমাজর এক সদস্য হিসেবে কেউ এ দায় কি এড়িয়ে চলতে পারি। আমাদের মানসিক, সামাজিক বা অভ্যন্তরীন মূল্যবোধটা দিন দিন এভাবে অন্েযর সমালোচনায় লোপ পাচ্ছে।আমরা কেউ কোন কিছু চেয়ে না পেলে মনে করি আমাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং আমি যেহেতু পাইনি তাই অন্যকে পেতে দিব না। পেছন থেকে থেকে টানতে থাকি। অন্যের কাজে ছিদ্রান্বেষণ করা এক শ্রেণির লোকের এখন অন্যতম প্রধান কাজ হয়ে উঠেছে। অলস সময় গঠনমূলক কোন কাজ না করে অন্েযর ছিদ্রান্বেষণকারীরা নিজেও জানেন না তার নিজের কাজে কত ছিদ্র আছে। আবার অনেকে জেনেও অন্যের ত্রæটি ধরার মাধ্যমে নিজের ব্যর্থতা ঘোচানোর অপপ্রয়াস চালান।
ভালো কাজের প্রশংসা করতে আমরা যেমন কার্পণ্য করি তেমনি মন্দ কাজের দ্রæত প্রসারের জন্য মুখিয়ে থাকার স্বভাব আমাদের জন্য আজ বিরাট হুমকি বলেই প্রতীয়মান। নিজেদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রেখে কখনও অন্যায়কে বাহবা দিচ্ছি আবার কখনও বাঘ্রের মতো ঝাপিয়ে পড়ছি। সব সময় অন্যায়ক অন্যায় বলে প্রতিবাদ করছি না। এটা শুধু ক্ষেএ বিশেষে ব্যবহার করছি অথবা সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলছি। অথচ অন্যায় সব অন্যায় হিসাবে বিবেচনা করা উচিত সেটা যেই করুক না কেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছু সরকারি কর্মকর্তারাও এ ধরনের ঢালাওভাবে সমালোচনায় ব্যস্ত সত্য-মিথ্যা না জেনেই। শুধু সমালোচনার জন্যই কি সমালোচনা?
এই নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য শুধু কি নীতি নির্ধারকরাই দায়ী? ব্যক্তি হিসেবে কি আমাদের কারো দায় নেই? আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি আমাদের তো এ শিক্ষা দেয়নি। তবে কেন আমরা দিন দিন এত অসহিষ্ণু হয়ে উঠছি? এটা মারাত্মক একটি সামাজিক ব্যাধি যা থেকে আমাদের দ্রæত বেড়িয়ে আসতে হবে। আসলে আমরা এমনই। নিজের ব্যর্থতাগুলোকে প্রকাশ করতে ভয় পাই। অন্যরা কিছু করলে আমাদের ভিতর কিছু করার জেদ না থাকলেও অন্যকে অপমান করতেও পারবো।
মিডেল ক্লাস সেন্টিমেন্ট, ধনী-গরিব আমরা সবাই এই রোগেই ভুগছি। আমাদের সব কিছুতেই না পাওয়া, বিদ্বেষ, ঘৃণা। সে কেন করবে? তার কেন এত কিছু করতে হবে? সে পারছে আমি কেন পারছি না? এসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।

One of colleagues rightly mentioned the situation

“আমি ফেসবুকে অকুতোভয় টাইপিং সৈনিক, লুকিয়ে লুকিয়ে যুদ্ধ করে রাজা উজির মারি, আমি ফেসবুকে এক মহা প্রতাপশালী ডিগ্রি ছাড়া বিচারক, রায় দিয়ে দেই নিমিষেই, আমি ফেসবুকে এক ক্ষিপ্রগতির ঈগল, নিমিষেই ছিন্নভিন্ন করি নিশানা।”
আমার অন্য একজন সিনিয়র সহকর্মী র কিছু বক্তব্য এখানে কোট করলাম –
“ঘরে বসে অলস সময়ে অনেকেই লিখছেন/ বলছেন যে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয় কাজ করার জন্য। তারা দায়িত্ব পালন করছে মাত্র। এতে বাহবা দেয়ার কিছু নেই। আচ্ছা, মেসি রোনালদো গোল করলে হাততালি দেই কেন আমরা ? গোল করার জন্যইতো ওদেরকে মিলিয়ন ডলার বেতন দেয়া হয়। আসলে যেখানে অনেকেই নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে না; সেখানে নিজের কাজ ঠিকমতো করলেও উৎসাহ দিতে হয়, অনুপ্রাণিত করতে হয়। করোনা দুর্যোগে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী,ডাক্তার-নার্স-চিকিৎসাকর্মীসহ সরকারি কর্মচারীরা যেভাবে খাওয়া দাওয়া নাওয়া ভুলে দিনরাত অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, ক্ষেত্র বিশেষে বৃত্তের বাইরে গিয়ে উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় (সরকারি ব্যবস্থাপনায় ভ্রাম্যমান দোকান, Door to Door Shop), নিজ উদ্যোগে রাত-বেতারে মাইকিং করে লোকজনকে সতর্ক করা, মূল্য বৃদ্ধিকারী অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, সুরক্ষা সেবা সামগ্রী জনগণের মধ্যে বিতরণ করা, রাতের বেলায় ঘরে ত্রাণের খাদ্য পৌঁছে দেওয়া, করোনা আক্রান্ত রোগীর দাফন-কাফনের ব্যবস্থাসহ দুস্থ্য মানুষের যারা সেবা করে যাচ্ছেন তাদেরকে বাহবা দেয়া, উৎসাহ দেয়া, অনুপ্রেরণা দেয়া বিবেকবান মানুষের দায়িত্ব।
ঘরে বসে ফেসবুকে অনেক কিছুই বলা যায়, অনেক বিপ্লব করে ফেলা যায়। কিন্তু এ এমন এক পরিস্থিতি যা কখনোই আমরা মোকাবেলা করিনি। অনেক ক্ষেত্রে সন্তান, পিতামাতা, ভাইবোন, আতœীয়স্বজন অসুস্থ ব্যক্তিকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে /মৃতদেহ ফেলে চলে যাচ্ছে সেখানে ডাক্তার-প্রশাসন-পুলিশকে যেতে বলা হচ্ছে এবং তারা যাচ্ছেনও।
সারা দুনিয়া লড়ছে করোনার বিরুদ্ধে। আর আমরা লড়ছি করোনার বিরুদ্ধে, মজুতদারির বিরুদ্ধে, মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে, কিছু শিক্ষিত -অশিক্ষিত বাঙালির অসচেতনতার বিরুদ্ধে, কিছু প্রবাসীদের গোঁয়ার্তুমির বিরুদ্ধে, কিছু ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে। আমাদের লড়াইটা আসলেই কঠিন। সরকারি কর্মচারীদের অনেক ত্রুটি-ঘাটতি-সীমাবদ্ধতা আছে। মেসি-রোনালদোও সর্বক্ষেত্রে সফল হয় না। তারপরও তাদের গোলে আমরা হাততালি দিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ি। কাজেই ভালো কাজের প্রশংসা করা দরকার।
আসুন, এই দুঃসময়ে যার যার অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখি এবং যারা মাঠে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে প্রাণভরে উৎসাহিত করি, অনুপ্রাণিত করি, তাদের মনোবল চাঙা রাখি। আমাদের কোন কথায় যেন তারা হতোদ্যম হয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখি।”
সবাই সংকীর্ণতার উধ্বে উঠে নেগেটিভিটি পরিহার করি। ভালো কাজের প্রশংসা করি মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকি। এ মহা দুর্যোগে সবাই সবার কাধে কাধ রেখে কাজ করি। বাঙালি জাতির সও্বা এবং মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে সমস্ত অনৈতিকতা থেকে দূরে থেকে সামাজিক যোগাযোগ (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার ইত্যাদি ) মাধ্যমে ভালো কাজের বিষয়ে শেয়ার করি। মন্দ কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করি এবং অন্েযর ছিদ্রান্বেষণে ব্যস্ত না থেকে যার যার অবস্থান থেকে দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে ভূমিকা রাখি। প্রত্েযকেই প্রত্েযকের পেশাকে সন্মান করি। ব্যক্তির দায় তার নিজের। ব্যক্তির দায়ের জন্য কোন পেশা /শ্রেনী দায়ী হত পারে না।পারস্পারিক সন্মানবোধ বজায় রেখে চলি। তবেই আমরা এই দুর্যোগময় মুহুর্ত শক্তিশালীভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।
পরিশেষে, “সবাই ঘরে থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।নিজে নিরাপদে থাকুন এবং অন্যকে নিরাপদ রাখুন। সরকারের নিদের্শনা মেনে চলুন।” পরম করুণাময় আমাদের সকলের সহায় হোন।
[বিষয়টি সম্পূর্ন ব্যক্তিগত মতামত। কোন ব্যক্তি বিশেষ কে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়। কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী]
খুলনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন তার ফেসবুকে পেজে বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে উল্লেখিত মতামত পোষণ করে।