প্রভাবশালীর খামখেয়ালিতে শরণখোলায় একমাস পানিবন্দি শতাধিক পরিবার

0
476
sdr

প্রতিনিধিঃ বাগরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের উত্তর কদমতলা এলাকার শতাধিক পরিবার প্রায় একমাস ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। অনেক পরিবার রান্নবান্না বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি স্বাভাবিক কাজকর্মও করতে পারছেন না তারা। স্থানীয় এক প্রভাবশালীর খামখেয়ালিপানায় বৃষ্টির পানি আটকে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছ বার বার বলা হলেও তারা পানি নিষ্কাশনের কোন উদ্যোগ নেয়নি। ফলে পানিবাহিত রোগব্যাধি ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার জলাবদ্ধ এলাকায় গেলে গৃহবধু হেলেনা বেগম, নারগিস বেগম, মমতাজ বেগম, শিউলি বেগমসহ অনেকেই বলেন, জলাবদ্ধতায় চুলায় পানি উঠে যাওয়ায় রান্নাবান্না করতে পারছি না। বাড়ির উঠান ও আশপাশ পানি জমে থাকায় সাপকোপ, পোকামাকড় ঘরের মধ্যে আশ্রয় নিচ্ছে। পঁচা পানিতে শিশুসহ অনেকের হাত-পায়ে চুলকানি দেখা দিয়েছে। পানির কারণে ছেলেমেয়েদের কোলে ও ঘাঁড় করে পৌঁছে দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ওই এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমান হাওলাদার (৬৫), আ. হামিদ (৭০), নূরুল ইসলাম (৪০), মো. সেলিম (৩৫), নারায়ন সাহা (৫০), সাইয়েদ আলীসহ (৪৫) অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ দিলেও মজিবর ফকির নামর স্থানীয় এক প্রভাবশালী তা বসাতে দিচ্ছে না। তার জমির ওপর থেকে অন্য এলাকার পানি সরাতে দিবেন না। চেয়ারম্যান, মেম্বার ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোন ফল হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জালাল আহমেদ রুমী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে একাধিকবার পাইপ বসানোর উদ্যোগ নিয়েও পারিনি। প্রভাবশালী ফকির বাড়ির লোকরা পাইপ বসাতে দিচ্ছেনা।
রায়দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, খামখোয়ালিভাবে পানি আটকো রেখো প্রভাবশালী কেউ জনগণের অধিকার ও পরিবেশের ক্ষতি করতে পারেন না। জলাবদ্ধতায় পরিবারগুলো কষ্টে আছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, এলাকাবাসী অভিযোগ নিয়ে এলে চোয়ারম্যানকে সমঝোতার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তব, এব্যাপারে মজিবর রহমান ফকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জমির ওপর দিয়ে পানি নামলে জমিতে পানি জমে উচু হয়ে যাবে। উচু জমিতে ফসল হবেনা। তবে, সঠিকভাবে পাইপ বসিয়ে পানি সরানোর ব্যবস্থা নিলে আমার আপত্তি নেই।