প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে মোরেলগঞ্জে ২০৬ ভাগ্যবান পাচ্ছে নতুন ঠিকানা

0
134
প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে মোরেলগঞ্জে ২০৬ ভাগ্যবান পাচ্ছে নতুন ঠিকানা

মেজবাহ ফাহাদ, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট):
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ২য় ধাপে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ২০৬ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের ভূমিহীনদের নিজস্ব ঠিকানা করে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় এই উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ও ২য় পর্যায়ে ২ লক্ষ ৫৯ টাকা মূল্যের ২ শতক জমির মালিকানাসহ আধা-পাকা এই ঘর উপহার হিসেবে দিতে যাচ্ছেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলীগাতি ইউনিয়নের মিস্ত্রীডাংঙ্গা, বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ঘোষিয়াখালী ও পঞ্চকরন ইউনিয়নের দেবরাজ আশ্রয়ন প্রকল্পের ২০৬ টি পরিবার আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের চাবি এবং ভুমির মালিকানার কুবলিয়াতনামা হাতে পাবেন।
প্রথম ধাপে উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ঘষিয়াখালী আশ্রয়নে ১৩১ টি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চকরনের দেবরাজ ও তেলিগাতীর মিস্ত্রীডাঙ্গা আশ্রয়নে ৭৫ টি ঘর নির্মাণ ব্যয় ব্যয় বাড়িয়ে প্রতিটি ঘরের জন্য ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা করা হয়েছে।
আগামীকাল ২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম দেশে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সে লক্ষে মোরেলগঞ্জে ঘর হস্তান্তরের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন।দেখা যায় দ্বিতীয় পর্যায়ের এই ঘরগুলোর নকশা ও পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার ফলে ঘরগুলো অধিক টেকসই ও দুর্যোগ সহনীয় হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরইমধ্যে ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ঈদের আগেই গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হলে এবারের ঈদ তাদের জন্য আনন্দে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে সেই লক্ষেই এই আয়োজন
পঞ্চকরন ইউনিয়নের দেবরাজ মিস্ত্রিডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেল এই ঘরের বাস্তব চিত্র,লাল সবুজের রঙিন টিনশেডের প্রতিটি একক ঘরে ইটের দেওয়াল কংক্রিটের মেঝে এবং টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শোবার ঘর, একটি রান্না ঘর, টয়লেট এবং সামনে ছোট খোলা বারান্দাও রয়েছে।এক একটি ঘর যেন এক একটি অক্ষয় নিবাস একটি সংকল্প। মনে হলো একান্ত আপন মনেই ঘরগুলো নির্মান করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এতে এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
ঘর নির্মান ও হস্তান্তরের ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কয়েকটি প্রকল্পের মধ্যে একটি, যাতে একসঙ্গে এত পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন করা হয়েছে। ভিটেমাটির পাশাপাশি হচ্ছে বসতঘর। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে চলে আসবে পিছিয়ে পড়া একটি বড় জনগোষ্ঠী ।মোরেলগঞ্জে ২০৬ জন গৃহহীন সদস্য পাবে মাথা গোজার ঠাঁই। ফলে ঐ পরিবার হয়ে উঠবেন আত্মপ্রত্যয়ী এবং খুঁজে পাবেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অবলম্বন। বাসগৃহ গুলো খুবই টেকসই আধুনিক সুযোগ সম্বলিত।
মোরেলগঞ্জ উপজেলায় খাস জমিতে ২য় পর্যায়ে ১৩১ টি ও তৃয় পর্যায়ে ৭৬ সহ সর্বমোট ২০৬ টি উপকারভোগীদের মাঝে আগামীকাল জমির কুবলিয়তসহ গৃহ হস্তান্তর করা হবে।