প্রচার-প্রচারণার পর্দা উঠছে মঙ্গলবার

0
399

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতীক বরাদ্দের পর মঙ্গলবার (২৩এপ্রিল) থেকে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হচ্ছে। আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২২এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর কাউন্সিলর পদে ১৮৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বলে রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ইউনুচ আলী জানান। কাউন্সিলরদের মধ্যে সাধারণ পদে ১৪৮জন এবং সংরক্ষিত পদে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক এবং সিপিরি প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবু প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার মোঃ ইউনুচ আলী জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপোক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই খুলনা মেট্রেপলিটন পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। নির্বাচনে সার্বিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণে সার্বক্ষণিক ১৫ জন ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করছে।
খালেক’র ওয়েবসাইট উদ্বোধন মঙ্গলবার: আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক’র নির্বাচনী ওয়েবসাইট উদ্বোধন উপলক্ষে খুলনা মাহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২৩এপ্রিল) প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
ভোট ডাকাতির আশংকা বিএনপির: সোমবার (২২এপ্রিল) বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, সরকার চায় ভোটাররা যেনো ভোট কেন্দ্রে না যায়। রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রগুলো যেনো সরকারি দলের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করে। গত কয়েকদিনে লক্ষ্য করেছি, শেখ পরিবারের সদস্যরা খুবই কর্মতৎপর ছিলেন খুলনায়। কি একটা মেসেজ তারা দিয়ে গেলেন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে গভীর রাতের বৈঠকে। এতে আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এ শহরের মানুষ বিএনপিকে ভালবাসে, ধানের শীষকে ভালবাসে এবং ধানের শীষে ভোট দিতে তারা অভ্যস্ত।
শেখ পরিবারের প্রতি তিনি আহবান জানিয়ে বলেন, এই ছোটখাটো নির্বাচনে না জড়িয়ে জাতীয়ভাবে জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচন নিয়ে ভাবুন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা অসৎ উদ্দেশ্যে তাদেরকে ব্যবহার করতে চায়। তাঁরা যেনো সেই অসৎ উদ্দেশ্যে, অসৎ স্বার্থ রক্ষায় ব্যবহৃত না হন। ভোটাররা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত। আমরা চাই কেসিসি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
তিনি বলেন, এখানে যদি ভোট ডাকাতি হয়, তাহলে বিএনপি কর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না। বিএনপি কর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছে ভোট ডাকাতি প্রতিরোধের। ভোটারদের সাথে নিয়ে সেই ডাকাতদের প্রতিরোধ করা হবে ইনশাআল্লাহ্।
নগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে মেয়র প্রার্থী মঞ্জু বলেছেন, নগরীর ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুকের বাড়ীতে গিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। ৩০নং ওয়ার্ডে সাবেক হুইপের ভাই দারা বিএনপি নেতাকর্মীদের হাত-পা ভেঙে দেবার হুমকি দিয়েছেন। ৩১নং ওয়ার্ডে একজন দাঙ্গাবাজ ছাত্রলীগ নেতা ও তার কর্মীরা ওখানে একই হুমকি দিচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড.শফিকুল আলম মনা, শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, আমীর এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, আব্দুল জলিল খান কালাম, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এস এ রহমান, মোঃ ফকরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।