প্রচন্ড শীতে দুবলার চরগুলোতে মাছ সংকট : হতাশ জেলেরা

0
534

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি, খুলনাটাইমস:
প্রচন্ড শীতের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরগুলোতে চরম মাছ সংকট দেখা দিয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া না থাকায় আশানুরুপ মাছ না পেয়ে অনেকটা নিরাস হয়েই লোকসানের বোঝা নিয়ে দুবলার বিভিন্ন চর ছেড়ে যেতে শুরু করেছে জেলেরা। এ বছর চরগুলোতে মাছের আকাঁল দেখা দেওয়ায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় দুবলার শুঁটকি খাত থেকে রাজস্ব কমে যাওয়ার আশংকা করছে বন বিভাগ। তবে দুবলার ওসি ফরেষ্ট রেঞ্জার কাজী মোকাম্মেল কবির বলেন, তিনি টার্গেট অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে চরে মাছ শিকাররত জেলেরা আশানুরুপ মাছ পেয়ে শুক্রবার দুবলা চরের মসজিদে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে।
জানা গেছে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় দুবলার চরে বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে মাছ শুটকিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর ফলে দুবলার শুঁটকি পল্লী থেকে প্রায় দেড় হতে দুই কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। এ বছর এখানে মাছ শুটকি প্রক্রিয়াকরণের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় ১ মাস পর। মৌসুম শুরু হওয়ার পর পরই সরকারি ঘোষণা অনুসারে ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরার জন্য সাগরে সকল ধরণের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। ওই সময় সেই সাথে সাদা মাছ এবং কাকড়াঁ ধরা বন্ধেরও নির্দেশ দেন মৎস্য অধিদপ্তর। এরপর ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাস মেলা উপলক্ষ্যে মাছ আহরণ ও শুটকিকরণ কাজ বন্ধ থাকে। ফলে ১ মাস বিলম্বে শুটকি কার্যক্রম শুরু এবং ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ও রাসমেলা উপলক্ষ্যে আরো প্রায় ১ মাস শুটকি প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। এ সকল কারণে চলতি শুটকি মৌসুমে সাগরে মাছ ধরা ও মাছ শুকানোতে কম পক্ষে দুই মাস সময় চলে গেছে। দু’মাস দেরিতে হলেও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর তীর দুবলার চরে মাছ ও শুটকিকরণ শুরু হলেও রাজস্ব আয়ের টার্গেট পুরণ নিয়ে শংঙ্কায় পড়েছে বন বিভাগ। কিন্তু চলতি মাসে প্রচন্ড শীত ঝেঁকে বসায় দুবলার চরাঞ্চলের সাগর থেকে আশানুরুপ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রচন্ড শীতের কারণেই মুলত এই মাছের আকাল চলছে বলে জানিয়েছেন দুবলার জেলে ব্যবসায়ী আল আমিন শেখ, রুহুল আমীন বাচ্চু, মহাজন মোঃ কামাল, রেজাউল খোকন টোটন, মাছ পরিবহন ঠিকাদার মোঃ জালাল আহম্মেদ বুলবুল আহম্মেদ মুক্ত। এ জেলে-মহাজন ও ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় পানি অত্যন্ত ঠান্ডার কারণে গভীর সাগরের মাছ উপরে উঠে আসছে না। আবহাওয়া পর্যক্ষেণে শীঘ্রই শীত কমারও কোন লক্ষণ নেই, তাই চরে অহেতুক বসে লোকসানের বোঝা না বাড়িয়ে অনেকেই চর ছেড়ে যেতে শুরু করেছেন। #