প্রকল্পের টাকার তিন ভাগের দুই ভাগ ইউপি সদস্যের পকেটে: দেবহাটার দক্ষিণ নাংলা-ছুটিপুর ঋষিপাড়া কালি মন্দির নির্মাণে দূর্নীতির অভিযোগ!

0
483

আব্দুর রব লিটু, দেবহাটা: দেবহাটার দক্ষিণ নাংলা-ছুটিপুর ঋষিপাড়া কালিমন্দির নির্মাণে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এক লক্ষ টাকার প্রকল্পের প্রথম কিস্তি ৪৫ হাজার টাকার প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ ইউপি সদস্যের পকেটে। আর এ অভিযোগ উঠেছে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯নং সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য হামিদা পারভীনের বিরুদ্ধে। আবার প্রতিবাদ করলে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয় ইউপি সদস্য হামিদা পারভীন। এতে অল্প সংখ্যক পরিবারের বসবাসরত ঋষিরা আতঙ্কে আছে বলে এলাকা সূত্রে জানা যায়।
মন্দির কমিটি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ নাংলা গ্রামের ছুটিপুর ঋষিপাড়ায় ১২/১৩ পরিবার ঋষি সম্প্রদায়ের বসবাস। তারা পূজা অর্চনা করতে প্রাথমিক ভাবে নির্মান করেন একটি ছোট কালি মন্দির। পরে তারা বিভিন্ন সহযোগীতা নিয়ে কালি মন্দিরটির পাঁকা ঘর নির্মানের কাজে হাত দেন। মন্দিরটি উন্নয়নের জন্য সেখানে প্রকল্প দেওয়া হলেও পাড়াটি সংখ্যা লঘু ও অশিক্ষিত হওয়ায় কাজের সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছেনা বলেও একটি সূত্র। সম্প্রতি কালি মন্দিরের নামে জেলা পরিষদ থেকে এক লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার তত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন ইউপি সদস্য হামিদা পারভীনের উপর। টাকা পাওয়ার আগেই হামিদা পারভীন প্রকল্প পাশ করার নাম করে সহজ সরল এই ঋষিদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রকল্পের বরাদ্দকৃত এক লক্ষ টাকা থেকে প্রাথমিক ভাবে মন্দির কমিটির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করিয়ে ইউপি সদস্য হামিদা পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা উঠিয়ে পঁচিশ হাজার টাকা মন্দির কমিটির সভাপতি সুশান্ত দাসের নিকট দিয়ে অবশিষ্ঠ বিশ হাজার টাকা বিভিন্ন দপ্তরে দিতে হবে বলে কেটে নেয়। ঐ দিন সন্ধায় যেয়ে আবারো ইউপি সদস্য হামিদা খাতুন মন্দির কমিটির সভাপতির কাছে যেয়ে উক্ত বিশ হাজার টাকায় মেটেনি বলে আরো দুই হাজার টাকা নিয়ে আসে। এতে সব মিলিয়ে পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা থেকে আঠার হাজার টাকা পায় মন্দির কমিটি। বাকি সাতাশ হাজার টাকা চলে যায় ইউপি সদস্য হামিদা খাতুনের পকেটে। বিষয়টি স্থানীয় ঋষি সম্প্রদায়ের সবার মধ্যে জানাজানি হলে ইউপি সদস্য হামিদা বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদেরকে দেশ ছাড়া করার হুমদি দেয়।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য হামিদা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার বলেন, জেলা পরিষদ থেকে যে টাকা এসেছে আমি মন্দির কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছি।
বিষয়টি তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠু সমাধান ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সহ উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।