পুলিশের ব্যর্থতায় মিঠু হত্যার বিচার হয়নি প্রকৃত খুনীদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে

0
412

খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠু হত্যাকান্ডের এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনও মূল আসামী ও পরিকল্পনাকারীদের চিহনিত করে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে না পারার জন্য পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ি করেছেন দলের নেতারা। হত্যাকান্ডের পাঁচ দিনের মাথায় খুলনা রেঞ্জ পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তি এক প্রেস ব্রিফিং ডেকে মিঠু হত্যার দায়ভার বিএনপি নেতাদের কাধে চাপানোর চেষ্টা করলেও আজ পর্যন্ত তারা মামলার চার্জশিট দিতে পারেনি। নাম আসেনি মিঠুকে দুই দুই বার হত্যা প্রচেষ্টার সাথে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রতিনিধি ও চরমপন্থী নেতাদের। মিঠু বেচে থাকতেই যাদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেছিল এবং আদালতে নারাজি দিয়েছিল। উপরন্ত মিঠু হত্যা মামলার বাদীকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তার পরিবারের সদস্যরা।
সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব অভিযোগ করে অবিলম্বে মিঠুর প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং অহেতুক বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। শুক্রবার বাদ জুম্মা নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা। উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডাঃ গাজী আব্দুল হক, খান জুলফিকার আলী জুলু, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, কামরুজ্জামান টুকু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মেজবাউল আলম, মুর্শিদুর রহমান লিটন, ওয়াহিদুজ্জামান রানা, শামীম কবির, ইবাদুল হক রুবায়েদ, আতাউর রহমান রনু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, শেখ হাফিজুর রহমান, মোল্লা সাইফুর রহমান, খন্দকার ফারুক হোসেন, মিরাজুর রহমান মিরাজ, জাবির আলী, আরিফুর রহমান, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, কাজী ওয়াইজউদ্দিন সান্টু, গোলাম কিবরিয়া আশা, মনির হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, জসিমউদ্দিন লাবু, শামসুল বারিক পান্না, নজরুল ইসলাম মোড়ল, মোল্লা কবির হোসেন, শেখ সাইদুর রহমান, মোঃ আলতাফ হোসেন, মশিউর রহমান লিটন, আব্দুর রহমান, রেজাউল ইসলাম, শেখ ফারুক হোসেন, হুমায়ুন কবির চঞ্চল, শেখ জয়নাল আবেদীন, বায়েজীদ প্রমুখ।
দোয়া মোনাজাত শেষে বিএনপি নেতারা ফুলতলায় মরহুমের গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে পারিবারিক গোরস্থানে মিঠুর কবর জিয়ারত করেন। এরপর পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদেরকে শান্তনা দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ মে রাতে ফুলতলা উপজেলার পথের বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে তিনটি মটরসাইকেলযোগে আসা ডিবি লেখা জ্যাকেট পরিহিত অজ্ঞাত আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন বিএনপি নেতা সরদার আলাউদ্দিন মিঠু ও তার দেহরক্ষী নওশের আলী গাজী।