পুলিশের বিশেষ সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোনের সুফল : মাদ্রসার ছাত্র উদ্ধার

0
435

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা) প্রতিনিধিঃ
নগরীর শিরোমণি এলাকা বন্ধুর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে তিন মাদ্রাসার ছাত্রকে জিম্মি করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণের দাবীর ঘটনায় খানজাহান আলী থানায় দ্রত বিচার আইনে ৮ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে (মামলা নং-২ তাং ১/৭/১৮)। উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের বিশেষ সেবা ৯৯৯ নাম্বারের কাংখিত সুফল পেয়েছেন অভিযোগকারী। উল্লেখিত নাম্বারে কল করে অভিযোগ করার মাত্র তিন ঘন্টা মধ্যে পুলিশ জিম্মিকারীদের মোবাইল ট্রেকিং করে মাদ্রাসার ছাত্রদের উদ্ধার করে।
শনিবারের তিন মাদ্রসার ছাত্র জিম্মির ঘটনায় সোনাডাঙ্গা আলীয়া খালাসী মাদ্রাসার ছাত্র মোজ্জাম্মেল হকের খালাতো ভাই মোঃ ইমরান আলী হানাফী বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় গিলাতলা ১নং বিহারী কলোনীর মৃত মোক্তার হোসেনের পুত্র মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম নিরব(২০), একই এলাকার গোলাম মোস্তফার পুত্র ওসমান গণি(১৬), মাত্তমডাঙ্গা পুর্বপাড়ার মোঃ রফিকুল ইসলামের পুত্র রায়হান শেখ(১৬), গিলাতলা ২নং বিহারী কলোনীর মাসুদ গাজীর পুত্র মোঃ শাকিল(২০), একই এলাকার মোঃ আলমের পুত্র ইসমাইল (১৮). মোঃ তোফাজ্জেলের পুত্র মোঃ রসুল (১৮). মোঃ মনিরুল ইসলামের পুত্র মোঃ সাগর (১৮). ফারুখ হোসেনের পুত্র মোঃ জুবায়ের(১৮) নাম উল্লেখ করে দ্রৃত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে তিন বন্ধু বেড়াতে আটরা শ্রিনাথ এলাকার সবুজ পল্লী খ্রিষ্টান বাড়ীর সামনে বাগানে নিয়ে মারপিট করে। পরে তাদের জিম্মি করে ৫ হাজার টাকা দাবী করলে মোজাম্মেলের মাতা বিকাশের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা পাঠানো হয়। পরবর্তিতে জিম্মিকারীরা আরো ২০ হাজার টাকা দাবী করে। বিষয়টি বিকাল ৩টায় তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশের বিশেষ সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে জানানো হয়। পরে খানজাহান আলী থানা পুলিশ জিম্মিকারীদের মোবাইল ট্রেকিং করে বিকাল সাড়ে ৫ টায় তাদেরকে গিলাতলা বিহারী কলোনী থেকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে
তিনজনকে আটক করা হয়। আটকের ঘটনার পরপরই তাদেরকে ছাড়াতে একটি চক্র মোটা অংকের টাকার তদবির চালিয়ে ব্যার্থ হয়েছে বলে একটি নির্ভর যোগ্য সুত্রে জানাগেছে। ঘটনার সাথে জড়িত পালাতক অন্য আসামীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান।