পাটকেলঘাটা নার্সিংহোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

0
312

শেখ নাদীর শাহ্:
তালার পাটকেলঘাটা সদরের পাটকেলঘাটা নার্সিং হোম (ক্লিনিকের) মালিক মোঃ গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতি, প্রতারনা ও হয়রাণির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কুমিরা গ্রামের মৃত শেখ আতিয়ার রহমানের ছেলে মোঃ গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে ঘর ভাড়া নিয়ে ক্লিনিক স্থাপন,ভাড়া না দেয়া,ক্লিনিকের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে টাকা নিয়ে ফেরত না দেয়াসহ জালিয়াতি করে র‌্যাব, থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রাণি করছে। সর্বশেষ এতদ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় বাজার কমিটি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন, ভূক্তভোগী ঘর মালিক ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা উপজেলার বাগমারা গ্রামের আলহাজ্জ্ব মৃত শেখ ফজিয়ার রহমানের ছেলে শেখ রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গোলাম রসুল ২০১৩ সালের ২৫ আগষ্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৬ বছর মেয়াদী মাসিক ১৮ হাজার টাকা চুক্তিতে তার মালিকানাধীন ঘর ভাড়া নিয়ে পাটকেলঘাটা নার্সিং হোম (ক্লিনিক) ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তবে চুক্তি মোতাবেক গত প্রায় ৩০ মাসের ঘর ভাড়ার ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা না দিয়ে উল্টো নির্দিষ্ঠ চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও ঘর থেকে না নেমে প্রথমত নানা তালবাহানা ও পরে উল্টো রফিকুলকে হয়রাণি করতে জাল চুক্তিপত্র ও বিভিন্ন প্রিমিয়ামে টাকা প্রদানের ভূয়া ভাউচার প্রস্তুত করে স্থানীয় থানা,জেলা র্যাব ক্যাম্পসহ বিভিন্নস্থানে অভিযোগ করেছেন। তবে প্রতিটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে শালিসী সভায় গোলাম রসুলের উপস্থাপিত কাগজপত্র সমূহ জাল ও তঞ্চকতাপূর্ণ বলে চিহ্নিত ও ধিকৃত হলেও অদ্যবধি তার কাছে পাওনা টাকা পরিশোধ কিংবা ঘর না ছেড়ে উল্টো নানাবিধ হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছেন।
শেখ রফিকুল ইসলাম তার লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন যে, ঘর ভাড়া নেওয়ার পর তার সরলতার সুযোগে গোলাম রসুল ক্লিনিকের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনতে না পারায় তার কাছে ৩ বছরের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা ধার চাইলে গত ২০১৫ সালের ৬ মে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে ২০১৮ সালের ৬ মে পরিশোধ করবে মর্ম্মে আরো ১৫ লক্ষ টাকা গ্রহন করে। তার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। পাওনা টাকা আদায়ে ইতোমধ্যে রফিকুল ইসলাম আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।
রফিকুল জানান,ধুরন্দর প্রতারক গোলাম রসুল তার ঘর ভাড়ার চুক্তিপত্রে ৬ এর স্থলে ১৬ ষোল বছর ও ৩০/০৭/২০১৯ এর স্থলে ৩০/০৭/২০২৯ সাল লিখে অনুরুপ ভূয়া চুক্তিপত্র প্রস্তুত ও তার পাটকেলঘাটা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাডে এক ফর্দে ১২ দফায় মোট ৪৮ লক্ষ টাকা পরিশোধের একটি ভূয়া ভাউচার তৈরী করে তাতে রফিকুল ইসলামের জাল স্বাক্ষর প্রস্তুত করে।
এরপর বিভিন্ন সময় থানা পুলিশ ও র্যাব ক্যাম্পসহ বিভিন্ন দফতরে রফিকুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রাণিমূলক অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে প্রতিটি শালিসীতে গোলাম রসুলের উত্থাপিত কাগজপত্র সমূহ জাল প্রমানিত হলেও কোন প্রকার টাকা পরিশোধ এমনকি জোরপূর্বক পেশিশক্তির বলে ঘরের অবৈধ দখল বজায় রেখেছে।