পাইকগাছায় ২টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ : মানবেতর জীবন যাপন

0
271

পাইকগাছা প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় জোর পূর্বক জঙ্গলকাটা সম্পত্তির মূল মালিকের ওয়ারেশ ২টি পরিবারের বসত বাড়ীর যাতায়াতের রাস্তা ঘেরা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার গড়ইখালী ইউপির কুমখালী গ্রামে। এ ঘটনায় সংসদ সদস্য সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ ও সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে গেলে জমির সি,এস রেকর্ডের মালিকগণের ওয়ারেশ অনিল কৃষ্ণ মন্ডলের পুত্র দেবাশীষ মন্ডল বলেন, আমার পূর্ব পুরুষরা কুমখালী মৌজায় অত্র সম্পত্তি এস,এ ২৪২, ২৯ ও ৩২৬নং খতিয়ানের জঙ্গলকাটা ১৮.৩৪ একর সম্পত্তির রায়তি মালিক থাকেন আমার পূর্ব পুরুষরা। ১৯৩২ সালে অভাব অনাটনের জন্য আমার পূর্ব পুরুষ কেদারনাথ মন্ডল জনৈক মহিন্দ্র পালের নিকট পাট্টা দলিল করে দেন এবং একই তারিখে ১৬ বছরের একরার নামা তৈরী করেন। ১৯৩৮ সালে ডিএস বোর্ড গঠণ হলে আমার পূর্ব পুরুষরা তাদের ঋণ পরিশোধ করে আবেদনের মাধ্যমে উক্ত জমি ফেরত আনেন। কিন্তু মহিন্দ্র পাল জমি ফেরত না দিয়ে তিনি ১৯৪২ সালে ডিএস বোর্ডের আদেশকে গোপন করে জনৈক নিলম্বর গংদের নিকট উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর করেন। তখন আমার পূর্ব পুরুষরা সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য ডিএস বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী রাধা রাণীর নিকট হস্তান্তর করেন। তিনি নিলম্বর গংদের বিরুদ্ধে মোকাম, খুলনা ১ম মুন্সেফী আদালত ৩৫/১৯৪৭নং মামলা দায়ের করেন। যা রাধা রাণীর অনুকুলে আদেশ প্রদান হলে এস,এ রেকর্ডে উক্ত নং খতিয়ানে আমার পূর্ব পুরুষ উত্তম মন্ডল গংদের নামে রেকর্ড প্রকাশিত হয়। কিন্তু নিলম্বর গংরা জমির দখল বুঝে না দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী সতিষ চন্দ্র বাছাড় গংদের নিকট মামলার আদেশ ও এস,এ রেকর্ড গোপন রেখে ১৫.৯০ একর জমি হস্তান্তর করলে তারা জবর দখলের অদ্যাবধি চেষ্টা করে আসছে। সর্বশেষ তারা গত ৮ মাস পূর্বে উক্ত জমি জবর দখলের চেষ্টা সহ আমাদের দুটি পরিবারের যাতায়াতের পথ ঘেরা দিয়ে বন্ধ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাদের অর্থ শক্তি, পেশি শক্তি ও লোকবলের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তাদের ভয়ে আমাদের ঐ দুটি পরিবার বাইরে আসার কোন সুযোগ পাচ্ছে না। এমনকি বাজার-ঘাটও তাদের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া তারা আমাদের লাগানো পেয়ারা, শিরিষ, নারিকেল গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ক্ষতি সাধন করেছে। অপরদিকে, সতিষ চন্দ্র গংদের পক্ষে এ্যাড. শ্যামল চন্দ্র বর্মন জানান, তারা যে অভিযোগ করেছে তার কোন সত্যতা নেই। ৩৫/৪৭নং মামলা নিলম্বর গংদের অনুকুলে আদেশ হলে আমরা উক্ত আদেশ ও জমির স্বপক্ষের কাগজপত্র দেখে ৭০/৮০ বছর পূর্বে খরিদ করে বর্তমান পর্যন্ত দখলে রয়েছি। আদালতের আদেশ তাদের পক্ষে হলে আমরা জমি ছেড়ে দেবো।