পাইকগাছায় পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে ২৫ জনকে কুপিয়ে জখম

0
204

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনার পাইকগাছায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নেতৃত্বে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ প্রায় ২৫জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এসময় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বাড়ী-ঘর ও মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে পথে পথে বাঁধা প্রদানেরও ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এক পর্যায়ে পুলিশ প্রহরায় গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সহিংসতার ঘটনায় পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তথ্য সংগ্রহে গেলে স্থানীয় দু’জন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। অভিযোগে জানানো হয়, শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার সোলাদানা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম এনামুল হকের পোস্টার লাগাতে গেলে নৌকা প্রতিকের কর্মী-সমর্থকরা তাতে বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় পোস্টার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেললে বিষয়টি স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুলকে জানালে তিনি তার কয়েকজন কর্মী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। নৌকা প্রতিকের প্রার্থীরা এ সময় অতর্কিতভাবে তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা সোলাদানার বেতবুনিয়া গ্রামের লাভলু গাজী ও তার বোন মনিরার বাড়ীতে আশ্রয় নেন। এসময় নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজী, রবি গাজী, আবু সাইদ কালাইয়ের নেতৃত্বে তিন-চারশ’ লোক লাভলু ও মনিরার বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে চেয়ারম্যান এনামুল, কিশোর কুমার মন্ডল, মুজিবুর রহমানকে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। চেয়ারম্যান এনামুলের কর্মী-সমর্থকরা ঠেকাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয় বলে আহত শামীম, মুজিবরসহ অন্যান্যরা জানান। হামলায় চেয়ারম্যান এনামুল হক, শামীম ও কিশোরের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। এদিকে অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন। সর্বশেষ ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়া সহিংস ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের ছবিসহ তথ্য সংগ্রহে জয়যাত্রা টেলিভিশনের উপজেলা প্রতিনিধি আসাদুল ইসলাম আসাদ ও দৃষ্টিপাত পত্রিকার পাইকগাছা প্রতিনিধি ফসিয়ার রহমান হাসপাতালে গেলে তাদেরকে লাঞ্ছিত করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নেয়া হয় বলে তারা জানান। এব্যাপারে নৌকার প্রার্থী মান্নান গাজী জানান, চেয়ারম্যান মুখ খারাপ করায় স্থানীয় লোকেরা তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে মারপিট করে। পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজ শফী এব্যাপারে জানান, অবস্থা খারাপের দিকে গেলে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সর্বশেষ ঘটনায় স্থানীয় হাফিজুর রহমান, রফিক ও অহেদ আলীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।