পাইকগাছায় কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ প্রচেষ্টা মামলার ক্লু উদ্ধার

0
365

শেখ নাদীর শাহ্ :


পাইকগাছায় কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ প্রচেষ্টার অভিযোগে থানায় দায়ের করা মামলায় পুলিশি তদন্তে ক্লু উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মামলার স্বাক্ষী ঘটনার শিকার ছাত্রীর প্রেমিক ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে যে, ঘটনার রাতে কয়েক জন যুবক তার প্রেমিকাকে একা পেয়ে মোবাইলে ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করায় মামলার উদ্ভব হয়।

মামলার বিবরণে জানাযায়, উপজেলার চাঁদখালী কলেজের একাদশ শ্রেনীর জনৈকা ছাত্রীর অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে স্থানীয় শাহিন গাজী, ছক্কু বিশ্বাস ও আঃ রহমান তাকে কু-প্রস্তাব দিত। একপর্যায়ে গত ১২ এপ্রিল গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ঘরের বাইরে আসার সাথে-সাথে ঐ ৩ যুবক জোরপূর্বক তার মুখে কাঁপড় জড়িয়ে ধরে পার্শবর্তী স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ছাত্রী বাদী হয়ে ৩ যুবকের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। যার নং-১২।

এদিকে মামলার পর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক পর্যায়ে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা তনয় কুমার পাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কলেজ ছাত্রীর প্রেমিক ও মামলার স্বাক্ষী রোকন নামে জনৈক কম্পিউটার দোকান মালিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রোকন দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে জানায়, বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীর সাথে তার মোবাইলে কথাবার্তা এবং এসএমএস এর মাধ্যমে চ্যাটিং হত। সর্বশেষ ঘটনার রাতে (১২ এপ্রিল) তাদের দেখা হবার কথা ছিল বলে জবানবন্দিতে বিস্তারিত উল্লেখ করে।

পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজ শফী জানান, মূলত ঘটনা ঘটেছিল চাঁদা দাবীর, অথচ মামলা করা ধর্ষণ প্রচেষ্টার। ঘটনার রাতে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে ঐ ছাত্রী বাড়ী থেকে বের হয়ে আসলে এক পর্যায়ে শাহিন, ছক্কু ও রহমান ঐ ছাত্রীর পথ আগলে তার ভিডিও করে তার মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় তারা চাঁদা না পেলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।