পাইকগাছায় উপ নির্বাচনে সরকারি দলের সন্ত্রাস ও আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বিএনপির উদ্বেগ

0
168

খবর বিজ্ঞপ্তি:
খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগনের ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল করে সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দিয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনেই পুলিশ, প্রশাসন, দল, গুন্ডা, সন্ত্রাসী সব যেন মিলেমিশে একাকার থাকে। সরকারি দলের প্রার্থীর অনুকুলে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বিরোধী দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচনী মাঠ থেকে তুলে দিয়ে একতরফা পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে জনগনের ভোটের অধিকার হরন করা হচ্ছে সরকারের মূল টার্গেট। পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও সেই কু-প্রবৃত্তি থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, সিভিল প্রশাসনসহ নির্বাচনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে নির্বাচনী পরিবেশ সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছে। খুলনা পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে সরকারি দলের অব্যাহত সন্ত্রাস ও নির্বাচনী আচরন ভঙ্গের করনীয় নির্ধারনে ১০ অক্টোবর শনিবার দুপুর ১২টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ সভা বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড, শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা আরও বলেন, ৪ অক্টোবর ২০২০ নির্বাচনী প্রচারনার দিন থেকে বিএনপির প্রার্থীর ডা. আব্দুল মজিদের নিজ ইউনিয়ন লস্করসহ বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা সংগঠিত হয়েছে। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম পিন্টু, ছাত্রদল থানা শাখার যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হুদা মিন্টুসহ ১০জন আহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও থানা পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি এবং এছাড়া ৩ অক্টোবর বিএনপির প্রার্থী তার পিতার কবর জিয়ারত করা কালীন সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এছাড়া পাইকগাছা উপজেলার ১০ ইউনিয়নে বিএনপির সভাপতি সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশী হয়রানির কারনে তারা অনেকেই বাড়ি ছাড়া হয়েছে। সম্ভাব্য এজেন্টদের নানভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে যাতে করে তারা এজেন্ট হতে অস্বীকৃতি জানায়। খুলনা-৬ আসনের (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য প্রতিদিনই উন্নয়ন পরিকল্পনা সভার নামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে দলীয় কর্মকান্ডের নামে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের সামিল। সভায় আগামী ১২ অক্টোবর পাইকগাছা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুর উপস্থিতিতে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও একই সাথে বিএনপির প্রার্থীর ধানের শীষ প্রার্থীর পক্ষে গনসংযোগে অংশগ্রহন করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, অ্যাড, শরিফুল ইসলাম, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, মোল্লা খাইরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম নান্নু, জি এম কামরুজ্জামান টুকু, ডা, আব্দুল মজিদ, এ্যাড. কে এম শহিদুল ইসলাম, মেহেদী হাসান দিপু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, ওয়াহিদুজ্জামান রানা, হাসানুর রশিদ মিরাজ হাফেজ বাশার, এ্যাড, আব্দুস সাত্তার, জি এম আসাদুজ্জামান, নাজমুল সাকিব পিন্টু, জসিম উদ্দীন লাবু, শামসুল বারিক পান্না, এনামুল হক সজল, মনিরুজ্জামান লেলিন প্রমূখ।