পাইকগাছায় অবহেলিত রাস্তার নাম কাটাবুনিয়া মধ্যচক

0
323
Exif_JPEG_420

অমল কৃষ্ণ মন্ডল, পাইকগাছা: পাইকগাছায় অবহেলিত এলাকার নাম কাটাবুনিয়া মধ্যচক। স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। কাঁদা-মাটিতে কর্দমাক্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা। নির্বাচন পূর্ব মুহুর্তে প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন পরবর্তী বেমালুম ভুলে যান জনপ্রতিনিধিরা। ফলে এলাকার হাজার হাজার জনগণ ও শতশত শিক্ষার্থীরা চরম ঝুকির মধ্যদিয়ে রাস্তাটিতে চলাচল করে।
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার গজালিয়া হাড়িয়ারডাঙ্গা বাঁধ হতে চাঁদখালীর কলমিবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটির দু’পাশে প্রায় ৩-৪শ পরিবার বসবাস করছে। পাইকগাছা উপজেলার বেশির ভাগ চলাচলের রাস্তা পিচ ঢালাই অথবা ইটের সলিং-এর কাজ হলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত এই রাস্তাটি কাঁচাই থেকে গেছে। রাস্তার পাশে মৎস্য লীজ ঘের থাকায় লীজের পানির ঢেউয়ে রাস্তা ভাংতে ভাংতে সরু হয়ে ফাঁড়িতে পরিণত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত প্রার্থীরা অত্র এলাকার রাস্তাটি সংস্কার বা নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর উক্ত রাস্তার দিকে আর কারও খেয়াল থাকে না। এমনিভাবে চলে আসছে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে। উক্ত গ্রামে একটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী চাঁদখালী, গজালিয়া এবং মৌখালী গ্রামে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা রয়েছে। অবহেলিত এ গ্রামের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে হলে উক্ত ৩টি বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়। এ ক্ষেত্রে গ্রামের কাঁচা সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত ঝুকির মধ্যে পড়তে হয়। রাস্তার কিছু কিছু এলাকা সম্পূর্ণ বিলিন হওয়ায় সে সব এলাকায় বাঁশ, তক্তা ও বিচুলী দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। উক্ত রাস্তা দিয়ে মটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ভ্যান, কিছুই চলতে পারে না। যে কারণে এলাকাটি রয়েছে সম্পূর্ণ অনুন্নত ও অবহেলিত। এলাকার হাজার হাজার জনগণ চলাচল করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। আবার বর্ষা মৌসুমে এলকার লোকজন বাড়িতে গৃহবন্দি হওয়ার মত বাড়িতেই বসে থাকে। আর শিক্ষার্থীরা র্বষা মৌসুমে তাদের স্কুল বন্ধ করে বাড়িতেই অবস্থান করে। এলাকার নেছার উদ্দীন মোড়ল (৭৫) জানান, পাইকগাছা উপজেলার সকল ইউনিয়নে কমবেশী উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত আমাদের এই গ্রামে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বারংবার আমরা বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন ফল পায়নি। বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য তারুণ্যের প্রতীক আক্তারুজ্জামান বাবুর দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি আমাদের দুঃখ বুঝবেন বলে বিশ্বাস করি। তারক চন্দ্র মন্ডল (৬০), রঞ্জন মন্ডল (৬০), মহিউদ্দীন মোড়ল (৬৫) একই বক্তব্য পেশ করেন। এলাকার সর্বস্তরের জনগণ বর্তমান সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন উক্ত রাস্তাটি সংস্কার বা নির্মাণের জন্য।