পাইকগাছার রাড়–লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া

0
346

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করায় ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসীর মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে বলে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকা মত প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার ৩০নং রাড়–লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাধা রাণী দাশ ১১/০২/২০১৬ তারিখে ৬৪নং পূর্ব কাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে এখানে যোগদান করেন। যোগদানের পর হতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার আমুল পরিবর্তন আসে। বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে আসছে। ২০১৬ সালের সমাপনী পরীক্ষায় ১০০ ভাগ পাশ সহ বৃত্তির আওতায় আসে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে একই হারে সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল ১০০ ভাগ এবং প্রতি বছর প্রতিষ্ঠান হতে একজন করে শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। অথচ, রাধা রাণী অত্র বিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে ফলাফল তেমন ভাল ছিল না। এমনকি ২০১১ সালে একজন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেলেও ২০১৬ সাল পর্যন্ত তেমন কোন অগ্রগতি বিদ্যালয়ে ছিল না। বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল হাকিম গোলদার জানান, রাধা রাণী দাশকে আমরা জোরপূর্বক পূর্ব কাটিপাড়া হতে আমাদের বিদ্যালয়ে এনেছি। কিন্তু কিছু ষড়যন্ত্রকারীরা বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের কাঙ্খিত লেখাপড়া ও ফলাফলে ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি বানোয়াট মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। সবচেয়ে বড় কথা অভিযোগে তার পরিবারকে নিয়ে যে ঘৃণ্য ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে এবং উক্ত আবেদন একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সভাপতি হিসেবে তার তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং ঐমহলকে বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র না করার জন্য জোর দাবী রাখছি। ৬৪নং পূর্ব কাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউপি সদস্য বাপ্পী বলেন, দিদি জখন আমাদের বিদ্যালয়ে ছিল, তখন লেখাপড়ার মান অনেক ভাল ছিল। এমনকি দিদি যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে অর্থাৎ ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আমাদের বিদ্যালয় হতে ২জন বৃত্তি পেয়েছে। অদ্যাবধি আর কোন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়নি। কিন্তু দিদিকে নিয়ে এহেন ষড়যন্ত্রকে আমি ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাই। শিক্ষক রাধা রাণী দাশ বলেন, আমি যেখানে যেখানে চাকরী করেছি সেখানে শিক্ষার্থীদের ফলাফল অনেক ভাল হয়েছে। যার প্রমাণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে আমার যতটুকু দায়িত্ব পালন করা দরকার আমি ততটুকু করি। এতে কিছু লোক আমার উপর রুষ্টু হলেও অভিভাবক সহ শিক্ষার্থীদের আমার উপর আস্তা আছে।