পাইকগাছার ঘোষখালী নদীতে ব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ

0
800

পাইকগাছা প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় গড়ইখালী ইউনিয়নের ঘোষখালী নদীটিতে পারাপারের জন্য ব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে ২০ গ্রামের মানুষ। নদীর ৫টি স্থানে বৈঠা ছাড়া নৌকায় চড়ে রশি টেনে পার হতে হয় যাত্রীদের।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে গড়ইখালী অন্যতম। সুন্দরবন ও কয়রা উপজেলার সীমান্তে গড়ইখালীর অবস্থান। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা কয়েক বছরের ব্যবধানে কিছুটা উন্নত হলেও অনুন্নত রয়ে গেছে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশেষ করে ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘোষখালী নদী। নদীর দু’পাড়ের লোকজনের পারাপারে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। পারাপারের জন্য ৫টি স্থানে পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। যার মধ্যে শান্তা, ফকিরাবাদ, কুমখালী, মসজিদ খেয়াঘাট, “কুমখালী হুগলার চক, কলেজ খেয়াঘাট, “হুগলার চক কুমখালী, সন্ন্যাসীর খেয়াঘাট, “আমিরপুর বাইনবাড়িয়া, ক্যাম্প খেয়াঘাট ও কাঁঠালতলা খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়। তবে নদীর দু’ধারে রশি টানা আর নৌকায় চড়ে রশি ধরেই পার হতে হয় যাত্রীদের। এভাবে পারাপারে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসী। তাছাড়া নদীর উত্তর পাশে রয়েছে শহীদ আয়ুব ও মুছা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ। এখানে রয়েছে সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি, ও এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র। ফলে পার্শ্ববর্তী কয়রা উপজেলার সাধারণ মানুষ সহ অসংখ্য শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীকে নদী পার হয়ে স্কুল, কলেজ ও দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়।
কয়রার হড্ডা গ্রামের ঝুমা মন্ডল জানান, নদী পারাপারে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কলেজে যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় নৌকা থেকে পড়ে যাওয়া সহ যাত্রী বেশী হলে নৌকা তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ব্রিজ থাকলে আমাদের মত শত শত শিক্ষার্থীকে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
কুমখালী গ্রামের রমেশচন্দ্র মন্ডল জানান, বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ একাধিকবার সমীক্ষা করেছেন। কিন্তু ব্রিজ করার কোনো লক্ষণ আজও চোখে পড়েনি। নদীর উপর কমপক্ষে ২/৩ টি ব্রিজ নির্মিত হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও কুমখালী গ্রামের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল জানান, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ইতিমধ্যে নদীর কলেজ খেয়াঘাট ও ক্যাম্প খেয়াঘাট এলাকায় দু’টি ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি চলতি অর্থবছরে ১টি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।