পশ্চিম শিরোমণি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

0
653

ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) প্রতিনিধি: নগরীর পশ্চিম শিরোমণি সরকারি প্রাথমিক ও জুনিয়র হাই স্কুলের দপ্তরীর বিরুদ্ধে শিরোমণি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী(১৩)কে ফুসলিয়ে বাড়ী থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্কুল ম্যানিজিং কমিটির চাপে একদিন পর ছাত্রীকে ফেরত দিলেও এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে প্রাপ্ত বয়ষ্ক না হওয়ায় তাদের বিয়ে গোপন রাখা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে স্কুলের ম্যনিজিং কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান বলছে চার বছর আগেও সে এই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী বর্তমানে তার স্ত্রী আফসানাকে প্রেমের ফাদে ফেলে এফিডেফিটের মাধ্যমে বিবাহ করে।
জানাগেছে, খানজাহান আলী থানাধীন পশ্চিম শিরোমণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী সোহেল শেখ(২৬) এর বিরুদ্ধে শিরোমণি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী(১৩)কে নিয়ে গত ৪ মে ফুসলিয়ে নিয়ে বাড়ী থেকে বের করে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের পিতা আফসার সোহেলে স্কুল ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি কাছে তার মেয়েকে হাজির জন্য জন্য চাপ প্রয়োগ করলে স্কুল ম্যানিজিং কমিটর সভাপতি তাকে দুই দিনের মধ্যে মেয়েকে হাজির করার সময় দিয়ে লিখিত দিতে বলেন।
এ বিষয়ে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নিবেদিতা মল্লিক বলেন আমি একটি শুনেছি। আমি নতুন এসেছি স্কুলে ভালো হয় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে কথা বললে।
এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুর রহমান এই প্রতিবেদকে মুঠোফোনে জানান, গত শনিবার দিন সকাল সাড়ে ৯টায় সোহেল আমার কাছে এক মাসের ছুটি নিতে আসলে আমি তাকে এক মাসের ছুটি দেই। কিন্তু সন্ধ্যায় শিরোমণি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর পিতা এবং মাতা আমার কাছে এসে সোহেলের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা অভিযোগ করেন। তিনি জানান অভিযুক্ত সোহেল চার আছর আগে এই স্কুলে যখন নতুন চাকুরী পায় তখন সে এই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী বর্তমান স্ত্রী আফসানাকে প্রেমের ফাদে ফেলে বিবাহ করে পরে চাকুরী হারানো এবং বাল্যবিবাহের মামলা হওয়ার ভয়ে এফিডেফিট করে বিবাহ করে। ঐ ঘটনার চার বছরের মাথায় নতুন করে একই ঘটনার জন্ম দিলো সে। তিনি জানান সোহেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে এই ঘটনার দুই দিন পর এলাকায় ব্যাপোক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে তাদের দু’জনের বিয়ের কথা কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকুলতার কারণে বিষয়টি চাপা রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেয়ের পিতা ঘটনা সত্যতা স্বিকার করে বলেন বিষয়টি আপোষ মিমাংশা করা হয়েছে। অভিযুক্ত সোহেলের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী আফসানা তাকে ফোনে কথা বলতে দেইনি।