নেতৃত্বশূন্যতায় হতাশ ফিকা

0
176

খুলনাটাইমস স্পোর্টস: শশাঙ্ক মনোহর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুই মাস হতে চলল। এখনও পর্যন্ত পরবর্তী চেয়ারম্যান ঠিক করা তো বহুদূর, নির্বাচন প্রক্রিয়াই চ‚ড়ান্ত করতে পারেনি আইসিসি বোর্ড। বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার শীর্ষ পদ নিয়ে এই অচলাবস্থায় হতাশ ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ফিকা)। সংস্থার পরিচালকদের একজন হিথ মিলসের মতে, এই অবস্থা অগ্রহণযোগ্য। আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রক্রিয়া আটকে আছে মূলত একটি জায়গায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে হবে নাকি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে, সেটি এখনও ঠিক করতে পারেনি আইসিসি বোর্ড। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিলস ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রক্রিয়ার পাশাপাশি প্রশ্ন তুললেন আগের নেতৃত্ব নিয়েও। “ আমাদের খেলাটির আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই মুহূর্তে নেতৃত্বের ঘাটতির এই পরিস্থিতি খুবই হতাশাজনক। খেলাটিরই খুব বাজে প্রতিফলন পড়ছে এতে। আগের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন প্রায় দুই মাস আগে। অবশ্য দায়িত্ব ছাড়ার আগেও কিছুদিন ধরে তিনি কতটা সম্পৃক্ত ছিলেন, আমি ঠিক নিশ্চিত নই।” করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ধাক্কায় এখন টালমাটাল ক্রিকেট বিশ্ব। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচিও চ‚ড়ান্ত করার সময় হয়ে গেছে। বর্তমান সফর সূচি ও আইসিসি ইভেন্টগুলোর স্বাগতিক নির্ধারণ করা আছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। এখনকার সময়ে এই অচলাবস্থা বলেই বেশি হতাশ মিলস। “ দুঃখজনকভাবে যা বোঝা যাচ্ছে, চেয়ারম্যান নির্বাচন করা বহুদূর, নির্বাচন প্রক্রিয়া ঠিক করা নিয়েই আইসিসি বোর্ড এখনও নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি। এখনকার এই সময় বলেই এটি আরও হতাশাজনক। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে অনেক দেশে, আইসিসির বর্তমান ইভেন্ট চক্রও শেষ হয়ে যাবে বছর দুয়েকের মধ্যে। এই অবস্থায় বৈশ্বিক নেতৃত্ব আরও বেশি জরুরি।” “ চেয়ারপার্সন নির্বাচন করা যে কোনো বোর্ডের জন্যই হওয়া উচিত খুব সাধারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এটিই যখন করা যাচ্ছে না, ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে। বৈশ্বিক সংস্থা হিসেবে এখন তাদের সময় সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে খেলাটিকে আরও কার্যকর করে তোলার কাজ করা। অথচ তারা এখনও ঠিকই করতে পারছে কে নেতৃত্ব দেবেন। সত্যি বলতে, এটি গ্রহণযোগ্য নয়।” আইসিসির এই কার্যপ্রবাহে দৃশ্যপটের আড়ালে সন্দেহজনক কিছু হওয়ার অবকাশ দেখছেন মিলস। “ আইসিসি নিজেদের বলে থাকে খেলাটির বৈশ্বিক সংস্থা, সংশ্লিষ্ট সবাই তাই তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার পরও যখন জানা যায় যে তারা চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়াই ঠিক করতে পারে না, তাহলে খেলাটা যারা চালায়, তাদের ওপর সবার বিশ্বাস আর থাকে না। এটা বরং আরও সন্দিগ্ধ করে তোলে যে আড়ালে কী হচ্ছে এবং লোকে কেবল নিজেদের স্বার্থেই কাজ করছে, অতীতে অনেকবারই আমরা যা দেখেছি।”