নিয়োগপত্র ছাড়াই জেনারেল হাসপাতালে দুইজন কুক/মশালচীতে দায়িত্বে!

0
221

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোন ধরনের নিয়োগপত্র ছাড়াই নগরীর সদর হাসপাতালে রান্না ঘরে কুক-মশালচীতে নিয়োজিত রয়েছেন বহিরাগত দুইজন। হাসপাতালের অফিসসহকারি ও ওয়ার্ড মাস্টারের যোগসাজোসে এসব অনিয়ম করে আসলেও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ কিছুই জানেন না।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, কোন ধরনের নিয়োগপত্র ছাড়াই হাসপাতালে রান্না ঘরে দুইজন কাজ করছেন বিষয়টি আমি অবগত নেই।
হাসপাতালের সূত্রে জানা যায়, জেনারেল হাসপাতালে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কন্ট্রাকস ক্লিনির্ং সার্ভিসিসেস লিমিটেড এর মাধ্যমে চতুর্থশ্রেনী কর্মচারি চারজনকে আউটসোর্সিং (চুক্তিভিত্তিক) হিসেবে হাসপাতালের রান্না ঘরে কুক-মশালচীতে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হচ্ছেন চতুর্থশ্রেনী কুক-মশালচী মোসলেমা খাতুন, বিপ্লব মন্ডল, আব্দুস সাত্তার ও জুয়েল। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক লোক নিয়োগ থাকা সত্বেও হাসপাতালের অফিস সহকারি মশিউর রহমান (বর্তমানে অবসরে) এবং ওয়ার্ড মাস্টার আতাউর রহমান যোগসাজোসে বহিরাগত দুইজনকে কুক-মশালচীতে দায়িত্বে রেখেছেন। তারা হচ্ছে মো: বাবুল ও মালা । সিভিল সার্জন অফিস সূত্র মতে, অফিস সহকারি মশিউর রহমান সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসরে চলে গেছেন।
ওয়ার্ড মাস্টার আতাউর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালের রান্না ঘরের দায়িত্বে রয়েছেন মশিউর রহমান। হাসপাতালে রান্না ঘরে চুক্তিভিত্তিক ছাড়া দুই জন কুক-মশালচীতে আছে। কিন্তু তারা কেন আছেন, মশিউর বলতে পারবেন। ওই জায়গার রোস্টারের দায়িত্বে ছিলেন অফিস সহকারি মশিউর রহমান।
এ ব্যাপারে অফিস সহকারি মশিউর রহমান বলেন, ঠিকাদার মাধ্যমে আউটসোর্সিং হিসেবে মোসলেমা খাতুন, বিপ্লব মন্ডল, আব্দুস সাত্তার ও জুয়েল রয়েছেন। এর মধ্যে মোসলেমা খাতুন ও বিপ্লব মন্ডলকে হাসপাতালে ওয়ার্ডে এবং আ: সাত্তারকে নাইট গার্ডে নিয়োজিত করা হয়েছে। বর্তমানে রান্না ঘরে বাবুল, মালা ও জুয়েল কুক-মশালচীতে হিসেবে কাজ করছেন। বাবুল ও মালা কোন নিয়োগপত্র আছে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন নেই। কোন নিয়োগপত্র ছাড়াই তাদেরকে কাজ দেওয়া হয়েছে। কেন তারা কাজ করছেন এর কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো: মুরাদ হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কন্ট্রাকস ক্লিনির্ং সার্ভিসিসেস লিমিটেড পরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক হিসেবে মোসলেমা খাতুন, বিপ্লব মন্ডল, আব্দুস সাত্তার ও জুয়েলকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাবুল ও মালা নামে কাউকে আমি চিনিনা। তারা কিভাবে কাজ করছেন তাও আমার জানা নেই। হাসপাতালে রান্না ঘরে কোন ধরনে অঘটন ঘটলে এই দায়-দায়িত্ব আমি নেবো না। কারণ আমি বা আমার প্রতিষ্ঠান কাউকে তাদের নিয়োগ দেইনি।