নিলামে উঠছে চট্টগ্রাম বন্দরে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ভর্তি কন্টেইনার

0
390

খুলনাটাইমস ডেস্ক:
চট্টগ্রাম বন্দরে এক মাসেরও বেশি সময় যাবত পড়ে থাকা আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ভর্তি ১২টি কন্টেইনার নিলামে উঠছে। নিয়মানুযায়ি আমদানির ৩০দিন পাড় হওয়ায় এ সব কন্টেইনার নিলামে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর সুত্র জানায়, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে এসব কন্টেইনার বন্দর থেকে ছাড় না নিয়ে জমিয়ে রেখেছেন কয়েকজন আমদানিকারক। মূলত দুটি কারণে এসব কন্টেইনার বন্দর থেকে তারা ছাড় নিচ্ছেননা। একটি হচ্ছে দীর্ঘদিন বন্দরে পড়ে থাকায় এসব কন্টেইনারে প্রচুর মাশুল এসেছে।
আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অপেক্ষা করা। প্রাথমিকভাবে ১ কনটেইনার আদা, ২ কনটেইনার রসুন, ৯ কনটেইনার পেঁয়াজ নিলামে তুলতে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া পণ্যের ২৫ থেকে ২৮ শতাংশই বাণিজ্যিক পণ্য (কমার্শিয়াল আইটেম)। এর মধ্যে আদা, পেঁয়াজ, রসুনের মতো ভোগ্যপণ্যের প্রায় পুরোটাই আসে কনটেইনারে করে। রোজার সময় যত কনটেইনার আসে তার ১০ শতাংশই হলো আদা, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর ও চিনির মতো ভোগ্যপণ্য । এসব কনটেইনারে গড়ে ২৫ টন পণ্য থাকে ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ওপরিকল্পনা) জাফর আলম মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, বাজারের ঘাটতি ও সরকারের রাজস্ব সুরক্ষায় আদা, রসুন, পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের কনটেইনার বারবার বলার পরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালাসের উদ্যোগ নেয়া হয়নি । এরই পরিপ্রেক্ষিতে দ্রæত নিলামের পদক্ষেপ নিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে ।
তিনি বলেন, বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার সংরক্ষণের স্থান বের করা জরুরি হয়ে পড়েছে । পণ্য ভর্তি কনটেইনার দ্রæত ছাড় করা হলে যেমন নতুন পণ্য রাখার সুযোগ তৈরি হবে আবার নিলামযোগ্য কনটেইনার নিয়ম অনুযায়ী নিলামে তুললে বন্দর পরিচালন কার্যক্রমেও গতি আসবে ।
জাফর আলম আরও বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ৩০ দিন বন্দরে পড়ে থাকার পর সব ধরনের কন্টেইনার ও পণ্য নিলামে তোলার কাজটি করে থাকে কাস্টমস। বন্দর থেকে আমরা তালিকা পেয়ে গেছি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নিলামে তোলার কাজ শুরুকরব। এসব পণ্য বাজারে ছাড়লে রমজানের সময় বাজারে সরবরাহ সংকট কিছুটা হলেও কমবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার (নিলাম) মো. ফরিদ আল মামুন বলেন, আদা, রসুন, পেঁয়াজের ১২টি কনটেইনার নিলামে তোলার জন্য বন্দরের পাঠানো আরএল (রিমুভ লেটার) আমরা পেয়েছি। এখন এসব পণ্যের ইনভেন্টরি সম্পন্ন করে দ্রæত নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।