নিরাপদ ও মানসম্মত চিংড়িসহ সকল মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে -শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী

0
418
????????????????????????????????????

তথ্য বিবরণী:
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, নিরাপদ ও মানসম্মত চিংড়িসহ সকল মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে চিংড়ি চাষের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করছে।
তিনি শনিবার দুপুরে খুলনার গল্লামারী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার সম্মেলনকক্ষে উপকূলীয় এলাকায় মাছ ও চিংড়ি সম্পদের উন্নয়নে করণীয় বিষয়ক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প, খুলনা মৎস্য বিভাগ এই সংলাপের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদন করে নিজের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানী করা হচ্ছে। জাতীয় জিডিপিতে একটি অংশ আসে মৎস্য সেক্টর থেকে। বিশে^ ইলিশ মাছের উৎপাদন বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম এবং সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের জনসাধারণের নিরাপদ ও সহজলভ্য প্রাণিজ আমিষের যোগানে মৎস্য খাতের অবদান সর্বজনস্বীকার্য, তেমনি বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচনে মৎস্য খাত অসামান্য অবদান রাখছে। তিনি বলেন, সরকার মৎস্যজীবীসহ সকল জেলেদের কল্যাণে কাজ করছে। দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দরিদ্র মৎস্যজীবীদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সাথে সাথে অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক রণজিৎ কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তরের উপপরিচালক প্রীতিষ কুমার মল্লিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনার সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রী। সংলাপে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবী, চিংড়িচাষী, আড়তদার, ডিপোমালিক ও বিক্রেতা প্রতিনিধিরসহ প্রায় দুইশত জন অংশ নেন।
সংলাপে জানানো হয়, সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের ১৬ জেলার ৭৫টি উজেলার সাতশত ৫০টি ইউনিয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রথমার্ধে এই প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই-২০১৮ থেকে জুন-২০২৩ এবং দ্বিতীয়ার্ধে জুলাই-২০২৪ থেকে জুন-২০৩০ সাল পর্যন্ত। উপকূলীয় এলাকায় চারশত ৫০টি মৎস্য গ্রামকে কমিউনিটি সেভিংস গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা, একশ মডেল জেলে গ্রাম প্রতিষ্ঠা এবং এদের থেকে ৬০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের অর্থ সহায়তা প্রদানসহ পর্যায়ক্রমে ৫৪ হাজার জেলে সরাসরি এই সুবিধার আওতায় আনা হবে।