নিজস্ব প্রতিবেদক :
খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম নিজ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন! অবশ্য, জিডিতে নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি বলেও খুলনা টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন তিনি। এদিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার এবং সদর থানার ওসি জিডির বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন।
নিজ দলের প্রভাবশালী দুই নেতার বিরুদ্ধে এই জিডি হয়েছে বলে শহরে গুঞ্জন রটেছে। এড. সাইফুল কৌশলগত কারনে জিডির নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি। তবে এই জিডি গত মাসের কোনও এক দিনে করেছেন বলে জানান তিনি।
নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব, আযম খান কমার্স কলেজের সাবেক ভিপি সাইফুল আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী। এলক্ষে দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে কাজ করছেন। সে খুলনা চেম্বারের পরিচালক ও সাবেক সহ-সভাপতি। আছেন অর্ধ শতাধিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ।
খুলনা টাইমসকে মুঠোফেনে সাইফুল জানান, খুলনা চেম্বারের ও যুবলীগের প্রভাবশালী দুই নেতা তাকে জীবনে মেরে ফেলতে চায়। আলোচিত দুই নেতাই আসন্ন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে নিজ নিজ বলয়ে কাজ করছেন। জিডিতে তাকে মেরে ফেলতে পারে এমন অাশংকার কথা বলেছেন। তবে সেখানে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
সাইফুল আরও জানান, চেম্বার নির্বাচনে কতিপয় নেতার সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এখন তারাই নৌ পরিবহণ মালিক গ্রুপ দখল নেয়ার চেষ্টায় আছেন। যুবলীগের নেতার সঙ্গে কি নিয়ে দ্বন্দ্ব সাইফুল ইসলাম সেটা স্পষ্ট করেননি।
সাইফুল জনান, বিষয়টি তিনি দলের স্থানীয় নেতারা সহ কেন্দ্রীয় নেতাদেরও জানিয়েছেন। এমনকি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে জানিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বরাত দিয়ে সাইফুল আরও জানান, তারা তাকে সতর্ক অবস্থায় চলাফেরা করতে বলেছেন, একই গাড়িতে সবসময়ে চলাফেরা করতে বারন করেছেন। নিজস্ব দেহরক্ষীও বাড়িয়েছেন। এমনকি লোকালয় ছাড়া নির্জনে মর্নিং ওয়ার্ক করাও বন্ধ রেখেছেন।
এই বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবির খুলনা টাইমসকে বলেন, এমন জিডির কথা তার জানা নেই !
সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খুলনা টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন, এখন পর্যন্ত এড. সাইফুল জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কোন জিডি করেননি।