নিজের জন্মদিনে নিজেকেই চিঠি লিখলেন কোহলি

0
528

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : আজ ৩১ বছরে পা রাখলেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। জন্মদিন উপলক্ষে স্ত্রী আনুস্কা শর্মার সাথে ড্রাগনের দেশ ভূটানে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন কোহলি। গতরাত থেকেই সারা বিশ্ব থেকে শুভেচ্ছা পাচ্ছেন তিনি। তবে এর মাঝেই নিজেকে নিয়েই একটি চিঠি লিখেছেন কোহলি। জন্মদিন উপলক্ষে নিজের কৈশোর জীবনের প্রতি চিঠি লিখেছেন টিম ইন্ডিয়ার দলপতি। আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করেন কোহলি। চিঠির সাথে দু’টি ছবি যুক্ত করেছেন তিনি। চিঠিতে নিজেকে চিকু বলে সম্বোধন করেছেন কোহলি। শৈশবকালে নিজেকে চিকু বলেই সম্বোধন করতেন তিনি। ছবি ও চিঠি দেয়া স্ট্যাটাসে কোহলি ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘১৫ বছর বয়সী আমাকে নিজের জীবনযাত্রা এবং জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষার ব্যাখ্যা। লিখতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছি। পড়ে দেখতে পারেন ভক্তরা।’ টুইটারে কোহলির চিঠিটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো : ‘কেমন আছ চিকু। সবার আগে শুভ জন্মদিন। আমি জানি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তোমার অনেক প্রশ্ন আছে আমার কাছে। খুব বেশি প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না বলে দুঃখিত। কারণ আমরা জানি না বলেই দোকানের মিষ্টিগুলো বিস্ময়কর হয়, প্রতিটি চ্যালেঞ্জ রোমাঞ্চকর এবং প্রতিটি হতাশা শেখার সুযোগ। তুমি এখন এসব বুঝবে না। তবে জীবনে লক্ষ্যের চেয়ে তা কীভাবে কাটচ্ছো সেটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত তা দুর্দান্তই কাটছে। জেনে রাখ, জীবন তোমার জন্য বড় উপহারই রেখে দিয়েছে। কিন্তু এ জন্য তোমার প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর প্রস্তুতি থাকতে হবে। সুযোগ লুফে নাও তবে যেসব জিনিস তুমি পাবেই তার জন্য চেষ্টা করো না। ব্যর্থ হবে। সবাই তাই হয়। শুধু ওয়াদা করো, বড় হবে। আর সে চেষ্টায় শুরুতে না পারলে আবার চেষ্টা করো। অনেকে তোমাকে পছন্দ করবে, অপছন্দও করবে। এর মধ্যে অনেকেই তোমাকে জানে না। তাদের নিয়ে ভেবো না, শুধু নিজের ওপর বিশ্বাস রাখ। বাবা আজ জুতো উপহার না দেওয়ায় তোমার মনের অবস্থাটা আমি জানি। কিন্তু আজ সকালে তার আদর এবং তোমার উচ্চতা নিয়ে করা মজার কাছে এসব কিছুই না। এগুলো মনে রাখ। আমি জানি কিছু সময় সে বেশ কঠোর। কারণ সে তোমার ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনতে চায়। তোমার মনে হতে পারে এমন কিছু সময় আছে যখন বাবা-মা আমাদের বুঝতে পারে না। কিন্তু মনে রেখ শুধু পরিবারই নিঃশর্তভাবে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ফিরিয়ে দাও। সম্মান করো এবং যখনই সময় পাও তাদের সঙ্গে থাকো। বাবাকে বলো, তুমি তাকে অনেক ভালোবাসো। আজই বলো, আগামীকাল বলো, যত বেশি সম্ভব বলো। শেষ কথায়, শুধু নিজের হৃদয়ের দাবি রাখো। স্বপ্নকে তাড়া করো। দয়ালু হও এবং বিশ্বকে দেখিয়ে দাও বড় স্বপ্ন দেখা কীভাবে পার্থক্য গড়ে দেয়। নিজের মতো হও। আর হ্যাঁ, পরোটা যত পারো খেয়ে নাও। সামনের দিনগুলোয় এসব তোমার জন্য বিলাসিতা হয়ে উঠবে।’