না ফেরার দেশে চলে গেলেন রোয়েনা বাড়ৈ

0
562

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৃদ্ধাশ্রমে রোয়েনা বাড়ৈ মনু’র (৬২) কোন চিকিৎসা হয়নি। কোন প্রকার পরিচর্যা হয়নি। সে বার বার ফিরে আসতে চেয়েছে। সে অনেক বার আমাকে বলেছে, তোমরা আমাকে নিয়ে যাও। তারপর প্রশাসনের সাহায্যে আমরা তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় ২৫ অক্টোবর খুলনায় ফেরত এনেছি। খুলনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব্বোর্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাকে বাঁচাতে পারেনি। এমটাই বলেন, রোয়েনা বাড়ৈ’র মেঝ ভাই প্রফেসর জেমস্ দিলীপ বাড়ৈ।

সোমবার ভোর ৫ টা ২০ মিনিটে খুলনার ময়লাপোতা মোড়ে ডক্টরস পয়েন্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে উড়াল দিলেন রোয়েনা বাড়ৈ মনু। কার্ডিয়ার অ্যারেস্ট, বার্থ ব্যাধি, রক্তশূণ্যতা, পুষ্টিহীনতায় তার মৃত্যু ঘটে। হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ খুলনার বানরগাতী এলাকায় বাবার বাড়ীতে নেওয়া হয়। পরে বিকেলে খুলনার শান্তিধাম মোড় সংলগ্ন সাহেবের কবর খানায় দাফন করা হয়।

জেমস্ দিলীপ বাড়ৈ বলেন, কোন প্রকার চিকিৎসা নয় বরং সুপরিকল্পিত ভাবে তাকে সবার অগোচরে দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত ৮ জুন ২০১৮ তারিখে দুই ভাই ও মৃত ভাইয়ের স্ত্রী যথাক্রমে, চার্লস দীপক বাড়ৈ, এডেল বার্ড এবং মল্লিকা রায় বোনকে পিতৃ-ত্যক্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করবার অশুভ অভিপ্রায়ে-বোনের প্রাপ্য অংশ বিবেচনায় না রেখে ডেভেলপার দিয়ে নিজেদের জন্য প্রাপ্যতার চেয়ে বড় সাইজের ফ্লাট বানানোর কু-মতলবে উন্নত চিকিৎসার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে হঠাৎ মুজিবনগর খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল কাম বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের পিছনে প্রবাসী বড় ভাই ডা. টমাস বাড়ৈ এর প্ররোচনা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে।

খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল কাম বৃদ্ধাশ্রমের পাদ্রী দিপ্তী কির্তনীয় বলেন, এখানে তাকে নতুন করে কোন চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। আগের পেসকিপশন অনুযায়ী নার্সের মাধ্যমে তার চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

রোয়েনা বাড়ৈ’র মেয়ে চন্দনা চক্রবর্তী বলেন, মা মূলত মারা গেছে পুষ্টিহীনতা ও রক্তশূণ্যতায়। বৃদ্ধাশ্রমে ঠিক মত কোন চিকিৎসা পায়নি। আর তারা (তিন মামা ও মামী) জানতো সেখানে কোন প্রকার চিকিৎসা হবে না। খুলনাতে ভাল চিকিৎসার জন্য অনেক হাসপাতাল ক্লিনিক আছে। কিন্তু তারা তাকে খুলনায় রাখেনি। তারা জানতো ওখানে গেলে মা মারা যাবে, তখন একবারে মরদেহ নিয়ে আসবো এবং সেটাই পূরণ হয়েছে।