নারী নির্যাতনের ফলে আত্মহত্যা, হত্যার সামিল : নাগরিক নেতৃবৃন্দ

0
916

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : নারী নির্যাতনের ফলে আত্মহত্যা এটি হত্যার সামিল। গৃহবধূ তন্বী, সরকারী করোনেশন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনী, দাকোপের এস.এন ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বন্যা রায়, দাকোপের সরকারী এল. বি. কে. ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী জয়ী মন্ডলসহ অসংখ্য নারী আজ আত্মহত্যা করতে বাধ্য করছে। এভাবে চলতে থাকলে নারী নির্যাতনের ফলে আত্মহত্যার সংথ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাবে। কাউকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা মানে অনেকটা হত্যার মতোই অপরাধ আর আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচনা দেয়া মানে একটি সাধারণ অপরাধ! সুতরাং বিষয়টি নিয়ে এখনই ভাবার সময় এসেছে। তা-না হলে অপরাধীরা সরাসরি খুন না করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কোন নারীকে আত্মহত্যার জালে ফাঁসিয়ে দেবে আর সে আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসবে। এটিকে রোধ করতে হলে আইনের পরিবর্তন করতে হবে। ৩০৬ ধারায় বিচার নয় ৩০২ ধারায় বিচার করতে হবে। আইনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে হত্যা প্ররোচনায় মামলাটি হত্যা মামলা হিসাবে বিবেচনায় আনতে হবে। অপরাধীরা যাতে কোনভাবে পার না পায় সেদিকে বিবেচনায় এনে তদন্তকাজটি সঠিকভাবে করতে হবে। এভাবে বললেন তন্বী স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আলোচনা সভায় নাগরিক নেতৃবৃন্দ বলেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় তন্বী স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় হোটেলে তন্বীর ২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে “নারী নির্যাতনের ফলে আত্মহত্যা: হত্যার সামিল’-শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাড: অলোকানন্দা দাস। সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ,খুলনার আহবায়ক এ্যাড: কুদরত-ই-খুদা। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন এ্যাড: মোমিনুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তন্বী স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস ফাতেমা জামিন, এ্যাড: এনায়েত আলী, এ্যাড: মঞ্জুরুল আলম, এ্যাড: আফম মহসীন, বিএম জাফর, তন্বীর মা শামীমা সুলতানা, সুতপা বেদজ্ঞ, শ্যামল সিংহ রায়, মফিদুল ইসলাম, জনার্ধন নান্টু, মনিরুল হক বাচ্চু, টপন কুমার রায়, অধ্যক্ষ এম এ আলম সিদ্দিকী, এ্যাড: অশোক কুমার সাহা, মাহাবুব আলম বাদশা, সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোল্লা, মহেন্দ্র নাথ সেন, মো: মাকসুদ, নীপা মোনালিসা,নূর মোহাম্মদ মোড়ল, সেলিম বুলবুল, এস এম ফারুক-উল-ইসলাম শাহ মামুনর রহমান তুহিন, আফজাল হোসেন রাজু, সিলভী হারুণ, মনিরা সুলতানা, রসু আক্তার, এ্যাড: পপী ব্যনার্জী, রিজিয়া পারভীন, হোসনে আরা, জেসমিন জামান, মনির আহমেদ, ইসরাত আরা হীরা, দীপক কুমার দে প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত, গত সাড়ে সাত বছরে সারাদেশে ৮০,১৮৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। অর্থাৎ, গড়ে দৈনিক ২৯ জনেরও বেশী। ২০১৭ সালের প্রথম ছয় মাসে ২,৯৭৮ জন আত্মহত্যা করেছেন, যার মধ্যে ১,৭৮৯ জন নারী। এই সব আত্মহত্যার মূল কারণ হিসেবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অবমাননা ও অবহেলা, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ, যৌন নির্যাতন, মিথ্যা অপবাদ বা সন্দেহ, অনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা আত্মহত্যা করছেন, তাদের বেশীর ভাগেরই বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নারীদের উপর শারীরিক, মানসিক, যৌন নির্যাতন ও ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবার কারণে এবং পরিস্থিতি সামাল না দিতে পেরে তাদের আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরণের আত্মহত্যাকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। যেহেতু মৃত্যুটি স্বাভাবিক নিয়মে ঘটে না, সেহেতু এটা যুক্তিসংগতও বটে। কিন্তু মামলার ক্ষেত্রে সেই আত্মহত্যার সাথে যখন তারা ‘প্ররোচনা’ শব্দটি যুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে, তখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় ও সামাজে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, খুলনার স্কুল ছাত্রী চাঁদনীর আত্মহত্যার ক্ষেত্রে আসামীদের বিরুদ্ধে ‘প্ররোচনার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনী ভাষার এই শব্দটি দ্বারা কোথায় যেন অভিযোগটি হালকা হয়ে যায়। ‘প্ররোচনার’ শাব্দিক অর্থ উৎসাহ বা উসকানি দেয়া; অর্থাৎ, কাউকে আত্মহত্যা করতে উৎসাহ বা উসকানি দেবার মানে হলো, বিষয়টি আত্মহত্যাকারীর বুদ্ধি ও বিবেচনার উপর চাপিয়ে দেয়া। এক্ষেত্রে বাধ্য হয়েও যে একজন নারী আত্মহত্যা করতে পারেন বা কেউ চাঁদনীকের আত্মহত্যা করতে বাধ্য করতে পারে, সেই বিবেচনা কিন্তু আমরা করছি না।
আসাদুজ্জামান
সমন্বয়কারী(মূল প্রবন্ধটি নিচে দেওয়া হলো)
নারী নির্যাতনের ফলে আত্মহত্যা: হত্যার সামিল
সাম্প্রতিক সময়ে খুলনার কয়েকটি ধারাবাহিক ঘটনার উদাহরণ দিয়ে নারী নির্যাতনের একটি অভিন্ন মাত্রা সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক।
ঘটনা-১ঃ ১৩ অক্টোবর, ২০১৭। শামসুন নাহার চাঁদনী, বয়স-১৩, সরকারী করোনেশন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বখাটেরা তাকে উত্যক্ত করতো। একদিন সেই অত্যাচারের মাত্রা এতোই বেড়ে যায় যে, অপরাধী শুভ তার দল-বল নিয়ে চাঁদনীর বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে অপমান ও চাঁদনীর গায়ে হাত তোলে। এই নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে কিশোরী চাঁদনী সেই রাতেই আত্মহত্যা করে।
ঘটনা-২ঃ বন্যা রায়, দাকোপের এস.এন ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। এলাকার বখাটে যুবক ও ছাত্র সংগঠনের নেতা স্বর্ণদ্বীপ জোয়াদ্দার ও অভিজিতের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে সীমাহীন লাঞ্ছনা ও অপমান সইতে হয়। অবশেষে গত ২৭ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে নিজ বাসায় ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে বন্যা আত্মহত্যা করে।
ঘটনা-৩ঃ জয়ী মন্ডল, বয়স-১৮, দাকোপের সরকারী এল. বি. কে. ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। তাকে বাজুয়া কলেজের ছাত্র সংগঠনের নেতা ইনজামাম প্রায়ই উত্যক্ত করতো। একদিন জয়ী প্রাইভেট পড়তে গেলে ইনজামাম ও তার সহযোগিরা তাকে এলোপাথারী মারধর করে ও জোর করে পাশের এক বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রকাশ্যে এভাবে মারের অপমান সহ্য করতে না পেরে, গত ৫ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে হোস্টেলে রুমের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত, গত সাড়ে সাত বছরে সারাদেশে ৮০,১৮৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। অর্থাৎ, গড়ে দৈনিক ২৯ জনেরও বেশী। ২০১৭ সালের প্রথম ছয় মাসে ২,৯৭৮ জন আত্মহত্যা করেছেন, যার মধ্যে ১,৭৮৯ জন নারী। এই সব আত্মহত্যার মূল কারণ হিসেবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অবমাননা ও অবহেলা, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ, যৌন নির্যাতন, মিথ্যা অপবাদ বা সন্দেহ, অনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা আত্মহত্যা করছেন, তাদের বেশীর ভাগেরই বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নারীদের উপর শারীরিক, মানসিক, যৌন নির্যাতন ও ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবার কারণে এবং পরিস্থিতি সামাল না দিতে পেরে তাদের আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিজের ইচ্ছায় নিজের জীবন হরণ করা কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। আত্মহত্যার সাথে অবশ্যই পারিপার্শ্বিক ঘটনার প্রবল সংযোগ রয়েছে। কোন মানুষ যখন কোন উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে নিজের জীবন বিপন্ন করতে যায়, তখন বা তার আগে সে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য সমাজের মানুষের কাছে নানাভাবে সহযোগিতা চায়, নানা ধরণের আকুতির মাধ্যমে সে বোঝাতে চেষ্টা করে, বেঁচে থাকার জন্য তার সাহায্যের প্রয়োজন। সমাজ বা আশেপাশের মানুষদের কাছে থেকে সে রকম কোন সাহায্য না পাবার কারণে বাধ্য হয়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এভাবে প্রতিদিনই আমরা অসংখ্য আত্মহত্যার সংবাদ পাই। কিন্তু তা রোধের তেমন কোন পদক্ষেপ দেখতে পাইনা। ইদানিং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ের এই ঘটনার সংখ্যা এতোই অধিক যে, যুদ্ধ ও খুনের শিকার হয়েও এতো মানুষের প্রাণহানী ঘটে না। আজ এটি একটি বড় ধরণের সামাজিক ও জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আত্মহত্যা মানে কেবল একটি জীবনেরই ধ্বংস নয়, বরং পরিবার ও সমাজেও এর সুদূরপ্রসারী বিরূপ মানসিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
আমাদের দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরণের আত্মহত্যাকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। যেহেতু মৃত্যুটি স্বাভাবিক নিয়মে ঘটে না, সেহেতু এটা যুক্তিসংগতও বটে। কিন্তু মামলার ক্ষেত্রে সেই আত্মহত্যার সাথে যখন তারা ‘প্ররোচনা’ শব্দটি যুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে, তখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় ও সামাজে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, খুলনার স্কুল ছাত্রী চাঁদনীর আত্মহত্যার ক্ষেত্রে আসামীদের বিরুদ্ধে ‘প্ররোচনার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনী ভাষার এই শব্দটি দ্বারা কোথায় যেন অভিযোগটি হালকা হয়ে যায়। ‘প্ররোচনার’ শাব্দিক অর্থ উৎসাহ বা উসকানি দেয়া; অর্থাৎ, কাউকে আত্মহত্যা করতে উৎসাহ বা উসকানি দেবার মানে হলো, বিষয়টি আত্মহত্যাকারীর বুদ্ধি ও বিবেচনার উপর চাপিয়ে দেয়া। এক্ষেত্রে বাধ্য হয়েও যে একজন নারী আত্মহত্যা করতে পারেন বা কেউ চাঁদনীকের আত্মহত্যা করতে বাধ্য করতে পারে, সেই বিবেচনা কিন্তু আমরা করছি না।
একজন কলেজ ছাত্রীকে নিজ ঘরে আটকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে ইন্টারনেটে, মুঠোফোনে ছড়িয়ে দেবেন (প্রথম আলো, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭), তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে ফেলবেন, তারপর এক সময় সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে; আর তখন আমরা বলবো, মেয়েটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হয়েছে, উৎসাহিত করা হয়েছে! সে নিজের পথ নিজেই খুঁজে নিয়েছে!
কাউকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা মানে অনেকটা হত্যার মতোই অপরাধ আর আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচনা দেয়া মানে একটি সাধারণ অপরাধ! সুতরাং বিষয়টি নিয়ে এখনই ভাবার সময় এসেছে। তা-না হলে অপরাধীরা সরাসরি খুন না করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কোন নারীকে আত্মহত্যার জালে ফাঁসিয়ে দেবে আর সে আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসবে।
সর্বশেষে, খুলনার একটি আলোচিত হত্যাকান্ড সম্পর্কে সি.আই.ডি কর্তৃক দাখিলকৃত অভিযোগপত্রের উপসংহারটি সংযোজন করা হলোঃ-
শেখ শাজাহান, পুলিশ পরিদর্শক, সি.আই.ডিঃ “আমার সার্বিক তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনায় আসামী সোহেল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভিকটিম সারাহ ফারগুশান তন্নীকে অত্যাচার নির্যাতন করে আত্মহত্যার প্ররোচণা করায় পেনাল কোড ৩০২ ধারার পরিবর্তে ৩০৬ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সম্পুরক অভিযোগপত্র দাখিল করিলাম।” এখানে ৩০২ ধারায় হত্যার অপরাধ ও ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় সাহায্য করার অপরাধ দু’টি ক্ষেত্রেই কিন্তু শাস্তির পার্থক্য আছে।
পরিশেষে, সঠিক আইন ও তার সুষ্ঠ প্রয়োগের উপরেই কিন্তু ন্যায় বিচার নির্ভর করে, সমাজে সুস্থতা ও সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা যতদিন না সেই ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পারবো, ততদিন সুস্থ ও সভ্য সমাজও প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো না।