নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ‘আপসযোগ্য’ হলো সাধারণ জখম

0
200

টাইমস ডেস্ক:
মন্ত্রিসভা বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারা সংশোধন করে ধর্ষণের সাজা ম”ত্যুদ-ের পাশাপাশি যাবজ্জীবন রাখার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ সময় আইনের ১১ এর ‘গ’ ধারাও সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর ফলে ধর্ষণে সাধারণ জখমকে (সিম্পল হার্ট) আপসযোগ্য করা হয়েছে, যা আগে আপসযোগ্য ছিল না। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানী গুলশানের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মন্ত্রী বলেন, গত ব”হস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম যে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারায় ধর্ষণের জন্য যে সাজা আছে, সেই ছিল যাবজ্জীবন কারাদ-। এই আইনটা সংশোধন করে এখানে ম”ত্যুদ-ের প্রস্তাব আজকে (গতকাল সোমবার) মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়। সেই মোতাবেক আজকে ৯ এর ১ ধারায় ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবনের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি একটি সংশোধন উত্থাপন করি। সেটা হ”েছ ধর্ষণের শাস্তি হবে ম”ত্যুদ- অথবা যাবজ্জীবন কারাদ-। যেহেতু ৯ এর ১ ধারা সংশোধণ করা হ”েছ, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৯ এর ৪ ধারায়ও ঠিক সেই পরিবর্তন আনা হয়েছে, সংশোধন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা জানেন কিছুদিন আগে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১১ এর ‘গ’ তে সিম্পল হার্ট ছিল, সেটা আপসযোগ্য ছিল না। সেটাকে আপসযোগ্য করার জন্য একটা নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার এ বিষয়েও ব”হস্পতিবার কথা হয়। সেই ধারাটিতেও ১১ সাধারণ জখমকে (সিম্পল হার্ট) আপসযোগ্য করা হয়েছে। এর সংশোধনী আমরা (আজকের গতকাল সোমবার) মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করেছিলাম। শিশু আইন, ১৯৭৪ কে নতুন করে এ সরকার ২০১৩ সালে আরেকটা শিশু আইন পাস করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। আনিসুল হক বলেন, সেখানেও আমরা সংশোধনী এনেছি। এ সকল সংশোধনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এটাকে অনুমোদন করা হয়েছে। অনুমোদন করা হয়েছে এই বলে যে, এই সংশোধনীগুলোকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে ভেটিং সাপেে এবং প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে, যেহেতু সংসদ এখন সেশনে নেই সেজন্য এটাকে অধ্যাদেশ করার জন্য আমরা আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে এটাকে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার প্র¯’তি নি”িছ। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ মানুষ। এসব কর্মসূচি থেকে সংশ্লিষ্ট আইনের পরিবর্তন এনে ধর্ষণের সর্বো”চ শাস্তি ম”ত্যুদ- করার আহ্বান জানানো হয়।