নারীর প্রতি সহিংসতার সকল ঘটনার বিচার চান খুলনার নারী নেত্রীরা

0
261

টাইমস প্রতিবেদক:
সারাদেশে লাগামহীন ঘটে যাওয়া নারী হত্যা, ধর্ষণ ও গণধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতার সকল ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন খুলনার নারী নেত্রীরা। সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক স্মারকলিপির মাধ্যমে এ দাবি করেন সম্মিলিত নারী অধিকার সুরক্ষা ফোরাম, খুলনার নেতৃবৃন্দ।
জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারী নেত্রী এ্যাডঃ তসলিমা খাতুন ছন্দা, শামীমা সুলতানা শীলু, সুতপা বেদজ্ঞ, ইসরাত আরা হীরা, এ্যাড. আফরোজা রোজী, মোঃ সাবির খান, কৃষ্ণা দাস প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেই দেশে ধর্ষণের ভয়াবহতা বেড়েছে। গত ৯ মাসে ৯৭৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৩ জনকে। গত আগস্ট মাসে ফুলতলা ও মুজগুন্নি আবাসিকে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও সাভারে ভাইয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নীলাকে হত্যা করা হয়। এরই মধ্যেই খাগড়াছড়ি ও সিলেটের এমসি কলেজে দুটি গণধর্ষণের ঘটনা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সারাদেশে অব্যাহতভাবে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় আমরা হতবিহ্বল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর। অধিকাংশ ঘটনায় আসামী গ্রেফতার হলেও সঠিক তদন্ত ও বিচারের অভাবে আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে আসামীরা বের হয়ে আসে। এ অবস্থায় আমাদের কন্যা সন্তানরা নিজেদের নিরাপদ চলাচল নিয়ে উদ্বিগ্ন। যদি আমরা নারীর চলাচল নিরাপদ করতে না পারি তবে সকল অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। তাই নারীর প্রতি ঘটে যাওয়া সকল সহিংসতার সঠিক তদন্ত ও বিচারের দাবি করছি।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন খুলনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বেগম মাজেদা আলী, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নারী নেত্রী বেগম ফেরদৌসী আলী, খুলনা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি রেহেনা আক্তার, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তণ অধ্যক্ষ সৈয়দা লুৎফুন নাহার নীলা, দৌলতপুর দিবা নৈশ কলেজের প্রাক্তণ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও নারী উদ্যোক্তা সাকেরা বানু, লেখক রোজী রহমান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সদস্য সচিব অজন্তা হালদার, মানবাধিকার কর্মী ও নাগরিক নেতা এ্যাড. কুদরত ই খুদা, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী এ্যাডঃ তসলিমা খাতুন ছন্দা, নারী নেত্রী রসু আক্তার, শামীমা সুলতানা শীলু, সুতপা বেদজ্ঞ, এ্যাড. মোমিনুল ইসলাম, এ্যাড. অশোক সাহা, ফাতিমা হুমায়রা সিলভী, ইসরাত আরা হীরা, জাকিয়া আক্তার হোসেন, আফরোজা রোজী।