গোপালগন্জ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে অবশেষে মুখ খুললেন আফরিদা খাতুন ঝিলিক (১৯) নামে এক নারী কর্মচারী।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এমএলএসএস হিসেবে মাস্টার রোলভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত নারী কর্মচারী ঝিলিক তার শিশু সন্তানকে বুকে জড়িয়ে আর্তনাদ করে ভিসি ভবনের সামনে সন্তানের স্বীকৃতি চান।
ভিসি ভবনের সামনে ওই নারীর কান্নার বিষয়টি কয়েকজন ভিডিও করেন। ২১ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ঝিলিক তার এক বছর বয়সী কন্যা সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা চান।
এ সময় ঝিলিক ভিসিকে তার সন্তানের বাবা দাবি করে চিৎকার দিয়ে বলেন, ‘আমার সন্তানের বাবা ভিসি। এই সন্তানের সঙ্গে ভিসির চেহারার অনেক মিল আছে।’
এ সময় ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দীন তার ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে ঝিলিককে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে দীর্ঘ সময় আটকে রাখেন এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেন। ভিসির নারী কেলেঙ্কারির বিষয়টি এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, ভিসির অপকর্ম ধামাচাপা দিতে ওঠেপড়ে লেগেছে একটি প্রভাবশালী মহল। কতিপয় কথিত সাংবাদিককে হাত করে গণমাধ্যমকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে ভিসির।
আফরিদা খাতুন ঝিলিকের আর্তনাদের ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে বিভিন্ন সময় যৌন নির্যাতন করেন। সেইসঙ্গে ভালোবাসার ছলনার প্রলুব্ধ করে দিনের পর দিন ভিসির বাংলোয় রেখে ওই নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করেন ভিসি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নির্যাতিত ঝিলিক বলেন, ‘আজ আমি সবকিছ ফাঁস করে দেব। খুলে দেব মানুষ নামের নরপশুর মুখোশ। আমার সন্তানের বাবা তুমি। আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছো। আমার কাছে তোমার সব অপকর্মের প্রমাণ আছে। সবার সামনে তোমার মুখোশ খুলে দেব।