নারীদের সমঅধিকারের ভিত্তিতে সব কাজে সমান অংশগ্রহণ জরুরী : মৎস্য প্রতিমন্ত্রী

0
420

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, আমাদের সমাজের অর্ধেক নারী আর অর্ধেক পুরুষ। তাই এদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য নারীদের সমঅধিকারের ভিত্তিতে সব কাজে সমান অংশগ্রহণ জরুরী।

তিনি আজ ৩১ অক্টোবর সকালে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে খুলনা অঞ্চলের বিকশিত নারীনেত্রীদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথি বলেন, একসময় সমাজে নারীরা আনেক পিছিয়ে ছিলো। অনেক রক্ষনশীলতা ও কুসংস্কারের শিকার তাদের হতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নারী ও শিশু আধীকার রক্ষায় আইন করার পাশাপশি সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিপ্লব সাধিত হয়েছে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নারীদের সক্রিয় উপস্থিতি তারই প্রমান বহন করে। সামজিক ক্ষেত্রেও নারীরা পিছিয়ে নেই। আগে নারীদের একটাই পরিচয় ছিলো গৃহবধু। কিন্তু এখন তারা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ভূমিকা রাখছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সংসারের উপার্জন বৃদ্ধি করছে এবং সমাজে তারা একটি অবস্থান তৈরি করছে।

মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নারীদেরকেই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। তবে এক্ষেত্রে পুরুষদের আরো উদার মানসিকতার পরিচয় দিতে হবে। নারী পুরুষ কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বি নয় এবং একে অপরের পরিপূরক এই মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে সমঅধিকারের ভিত্তিতে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড: বদিউল আলম মজুমদার এবং ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর। অনুষ্ঠানটি সুজন সভাপতি অধ্যাপক জাফর ইমাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এই নারী সম্মেলনে প্রায় তিন শতাধিক নারী এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করে। তথ্য বিবরণী#