নগর ভবনে খুবির প্রকৌশলীর হাতে ঠিকাদার নির্যাতিত

0
435

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নগরভবনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রকৌশলীর হাতে ঠিকাদার নির্যাতিত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে দেড়টার দিকে নগরভবনের নির্বাহী প্রকৌশলী-৩ মোঃ মশিউজ্জামান খানের রুমে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, খুবির নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আরিফুল ইসলাম জুয়েল তাঁর রুমে বসে কথা বলছিলেন। কথা বলাবলির এক ফাঁকে ঠিকাদারী ফার্ম মাদার এন্ড সন্সের ঠিকাদার মনির কাজী তাঁর রুমে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করে। তিনি প্রবেশ করেই প্রকৌশলী জুয়েলকে সালাম দেন। কিন্তু জুয়েল সালামের জবাব না দিয়েই তাকে মারতে উদ্যত হয়। এ সময় তিনি ঠিকাদারকে নাান ধরণের কথা বলেন। মশিউজ্জামান উঠে জুয়েরকে ঠেকিয়ে তার রুম থেকে বের করে দেন। পরে আজ (গতকাল) সকালে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।

কেসিসি ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সোনাডাঙ্গা থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা বলেন, রফিক কাজী খুবি ও কেসিসির সিনিয়র ঠিকাদার। তার সাথে খুবির প্রকৌশলী জুয়েলের ঠিকাদারী কাজ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সে অনুযায়ী রফিক কাজী খুবির ভিসি বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। বিষয়টি তদন্তে ভিসি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অভিযোগ দাখিলের কারণে জুয়েলকে খুবি কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরাখাস্ত করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে জুয়েলের মনে ক্ষোভ জন্ম হয়। পরে নগরভবনে ঠিকাদার রফিকের সাথে জুয়েলের দেখা হলে সে তাকে মারধর করে। এ সময় প্রকৌশলী মশিউজ্জামান ঠেকিয়ে দিলে বিষয়টি থেমে যায়। সকালে আবারো উভয়কে ডেকে এনে বিষয়টি মিমাংসা করা হলেও ঠিকাদার আগেই সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। যা এখন মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঠিকাদার কাজী মনিরুল ইসলাম ঠিকাদার নেতা আশার কথার সাথে সুর মিলিয়ে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বিভিন্ন মহলে দেন দরবার ও আলোচনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। থানা পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি জানান। তবে এ ব্যাপারে প্রকৌশলী জুয়েলের মোবাইলে একাধীকবার রিং করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবির অভিযোগ দাখিলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগটি রেকর্ডভুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।