নগর বিএনপির ইফতার মাহফিল

0
579

বিজ্ঞপ্তি : পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার নগরীর হোটেল টাইগার গার্ডেন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ, ভাষা সৈনিক, সাবেক এমপি এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বক্তারা বলেন, পবিত্র মাহে রমজান আত্ম সংযমের মাস। সিয়াম সাধনার মাস। একই সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার যুদ্ধেরও মাস। এই রমজানে বদরের যুদ্ধের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠার যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া প্রতিটি সাচ্চা ইমানদার মুসলিমের কর্তব্য। বক্তারা বলেন, দেশে একদলীয় দুঃশাসন কায়েম হয়েছে। স্বৈরশাসনের যাতাকলে পিষ্ঠ হচ্ছে জনগন। বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই। সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত। মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত। ন্যায়বিচার এক ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছায় পরিচালিত। কথা বললেই মামলা। প্রতিবাদ করলেই খুন গুম অপহরণ। সমগ্র বাংলাদেশই আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে। আর নির্জন এক কারাগারে এই সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়ে বন্দী হয়ে রয়েছেন মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বক্তারা বলেন, খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও প্রহসনের নতুন নজির স্থাপন হয়েছে। এই ভোটে প্রমাণ হয়েছে, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে কোন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারেনা। এ জন্য লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য নিজেদের প্রস্তত করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওতয়াত করেন মাওলানা জাহিদুল হক। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা শফিকুল ইসলাম।
ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সহ সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সাবেক এমপি শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম। ২০ দলীয় জোটের শরীকদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামির মহানগর আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, মাস্টার শফিকুল ইসলাম, এ্যাড. শাহ আলম, খান গোলাম রসুল, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা নাসিরউদ্দিন, মাওলানা আব্দুল্লাহ জোবায়ের, মুসলিম লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আক্তার জাহান রুকু, বিজেপির সভাপতি এ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, পিপলস লীগের লোকমান হাকিম, জেপি জাফর সভাপতি মোস্তফা কামাল। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনের শেখ মোঃ নাসিরউদ্দিন। আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. আব্দুল মালেক, এ্যাড. গাজী আব্দুল বারী, এ্যাড. মোহাম্মদ ইউনুস, এ্যাড. আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, এ্যাড. বজলুর রহমান, এ্যাড. এস আর ফারুক, এ্যাড. মশিউর রহমান নান্নু, এ্যাড. গোলাম মাওলা, এ্যাড. মাসুদ হোসেন রনি, এ্যাড, নুরুল হাসান রুবা। শিক্ষাবীদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক শফিকুল আলম। ডক্টর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাবের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ সেখ মোঃ আখতার উজ জামান। প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. আফতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জুয়েল। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ মোঃ আশরাফ উজ জামান, সুজনের আহবায়ক এ্যাড. কুদরত ই খুদা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী শামীম আহমেদ। ব্যবসায়ীদের সংগঠন নেতা আব্দুল বাকি, আখতার হোসেন ফিরোজ, আব্দুল জব্বার মোল্লা, তরিকুল ইসলাম জহির। সাবেক মেয়র শেখ তৈয়েবুর রহমানের স্ত্রী মিসেস লায়লা রহমান। পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আলী আহমেদ, মোহাম্মদ আলী সনি, তরিকুল ইসলাম, আহমেদ আলী খান, শেখ দিদারুল আলম, মোঃ আনিসুজ্জামান, আবু তৈয়ব, মুনীরউদ্দিন আহমেদ, অরুণ সাহা, কে এম জিয়াউস সাদাত। নগর বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, শাহজালাল বাবলু, রেহানা আক্তার, শেখ ইকবাল হোসেন, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর, স ম আব্দুর রহমান, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, ইকবাল হোসেন খোকন, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহবুব কায়সার, আজিজুল হাসান দুলু, আব্দুর রহিম বক্স দুদু, মুজিবর রহমান, একরামুল হক হেলাল, আজিজা খানম এলিজা, কামরান হাসান, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, শরিফুল ইসলাম বাবু, জি এম রফিকুল হাসান, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম প্রমুখ।
ইফতার অনুষ্ঠানে এছাড়াও সকল ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, প্রয়াত নেতাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, কারানির্যাতিত পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, ২০ দল, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিক, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ব্যাংক-বীমা-সমিতির কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, সাবেক ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ, ক্রীড়া সংগঠনের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন। #