নগরীতে হেলে পড়া ভবনে প্রাণ শংকায় ৬৫ জন, অভিযোগের বছর পার, পদক্ষেপ নেয়নি কেডিএ

0
1003
কেসিসি ১৮ নং ওয়ার্ডের হাজী তমিজ উদ্দিন সড়েকর ৩২/৩-ক নম্বরের হোল্ডিং বাড়িটি হেলে পড়েছে। -খুলনাটাইমস

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা নগরীর দারুল আমান মহল্লায় একটি ভবন হেলে পড়েছে। ভবনটির চারতলা সম্পূর্ণ। তার উপর কলেবরে বর্ধিত করা হয়েছে। সেখানে ১৪ জনের বসবাস। ভবনটির দুপাশে সড়কের একটি দেবে গেছে। চৌচির সীমানা দেয়ালে ফাটল চিহৃ অসংখ্য। ভবনটি পেছনে দিকে হেলে পাশ্ববর্তী টিনসেডের ঘরের উপর ভর করেছে। পেছনে ও পাশে প্রায় ৫১ সদস্যের বসবাস। সবমিলিয়ে জীবনের সংখ্যা ৬৫ জন। আতংকের ছোঁপ দেখা গেছে বসবাসরত সদস্যদের চোঁখেমুখে। যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনায় তাদের মৃত্যু হতে পারে। কেডিএ’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। সরেজমিনে গেলে বসবাসরত মানুষেরা এসব জানায়।
অবশ্য, ভবনটির মালিক অরুন সাহা এ প্রতিবেদকের কাছে নিজেই স্বীকার করেছেন, তার ভবন তিন ইঞ্চি হেলে পড়েছে। তার চারতলা ভবনে ১৪ জনের বসবাস। তার মতে, যখন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তখন তিনি এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করেন। অত:পর খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) এর এক কর্মকর্তা মিজান এবং এক প্রকৌশলীকে দেখিয়েছেন। উভয় ব্যাক্তিই তাকে আশ্বস্ত করেন সমস্যা হবে না।  প্রকৌশলীর নাম বলতে পারেননি তিনি।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র কাছে লিখিতভাবে পৃথক অভিযোগ করেন কেসিসি ১৮ নং ওয়ার্ডের হাজী তমিজ উদ্দিন সড়কের বাসিন্দা মো: তৌফিক বিন মাহফুজ, শামীম বিন মাহফুজ ও খালিদ বিন মাহফুজ।
অভিযোগে বলা হয়, বানরগাতির মৌজার ৩২/৩-ক নম্বরের হোল্ডিং বাড়িটি হেলে পড়েছে। যার মালিক অরুন সাহা। পেশায় তিনি মটর পার্টস ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বড় ধরনের ভূমিকম্পে কিম্বা অন্যকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ঘটে যেতে পারে অনকাংখিত ঘটনা। তারা বারংবার বলা স্বত্তে¡ও তিনি কর্ণপাত করেননি। ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ কেডিএ’কে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। তাদের অভিমত, সবখানেই সে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেন।
কেডিএ’র অথরাইজড অফিসার মো: মুজিবুর রহমান খুলনাটাইমসকে বলেন, উল্লেখিত বিষয়ে তার জানা নেই। তবে অভিযোগটি খতিয়ে দেখে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কেডিএ।