নগরীতে গৃহবধূ মুক্তা হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

0
661

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজার এলাকায় গৃহবধূ মুক্তা নাসরীন (৪৮) হত্যার অভিযোগ এনে স্বামী খোকন মোল্লাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীরা হলেন খোকনের মেয়ে জান্নাতুল পাপড়ী, মেয়ে জামাই মোঃ রিজভী ও বেয়াই আবু জাফর। গত মঙ্গলবার রাতে নিহতের ছোট ভাই শেখ সাদিকুর রহমান রিমন বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩৯, তারিখ: ২৩/১০/২০১৮ ইং।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে টুটপাড়া জোড়াকল বাজার এলাকার বাসিন্দা মোঃ মোজাম্মেল হক ওরফে খোকন মোল্লার সাথে বসুপাড়া মেইন রোড নিবাসী মৃত শেখ আব্দুস সাত্তারের কন্যা মুক্তা নাসরীনের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে অন্যান্য আসামীদের প্ররোচনায় স্বামী শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে নিহত মুক্তার পিতার মৃত্যুর পর তার অংশের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে কয়েকবার মিমাংসা করা হয়।
গত ২২/১০/১৮ইং দুপুর ৩টার দিকে নিহতের ছোট ভাই ও সুন্দরবন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদিকুর রহমান রিমনের ফোনে মুক্তা’র শ্বশুর বাড়ি থেকে জানানো হয় তার বোন অসুস্থ। তিনি, তার ছোট বোন শামীমা জামান ও ফার্মের কর্মচারী সালাউদ্দিন শিকদার ওই বাসায় গিয়ে দেখেন তাদের বোন খাটে অচেতন অবস্থায়। তার হাত-পা ঠান্ডা। হাসপাতালে নেওয়ার কথা বললে তারা জানায়, এ্যাম্বুলেন্স খবর দিয়েছি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও এ্যাম্বুলেন্স না আসায় আমি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করার পরামর্শ দেন। তাৎক্ষণিকভাবে খুমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তখন তার ডান কান, মুখে, হাত-পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের ভাই থানায় এসে মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।