নগরীতে আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে জমিতে ঘর নির্মাণ

0
457

খুলনা টাইমস প্রতিবেদক:
নগরীর শেরে বাংলা রোডস্থ আমতলা মোড় এলাকায় আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। আর এতে সহায়তা করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
জানা গেছে, নগরীর আমতলা মোড়স্থ পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া একটি জমির মালিক জাহানারা বেগম, এসএম ইউসুফ আলী, রওশন আরা ও তাদের মা। ওই জমিতে এস এম ইউসুফ আলীর পাওনা ৮ শতক। কিন্তু তিনি তার মা ও বোনদের বঞ্চিত করে ১৫.৫০ শতক জমি বিক্রি করে দেন সৈয়দা রেহানা মিনারের কাছে। আবার সেই জমি থেকে ২ শতক উম্মে সালমা’র নিকট বিক্রি করেন আরেক অংশীদার রওশন আরা। এ ঘটনায় দু’পক্ষই জমির মালিকানা দাবি করেন।
এ ঘটনায় রওশন আরার কাছ থেকে জমি ক্রয়কারী উম্মে সালমা খুলনা যুগ্ম জেলা আদালতে সৈয়দা রেহানা মিনারকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৭০/১৫। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২০১৭ সালে ৫ নভেম্বর জমিতে সব ধরণের স্থাপনা নির্মাণের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। এছাড়া একই জমিতে নিজের অংশ দাবি করে সুপ্রীম কোর্টে একটি রিট করেন জাহানারা বেগম। যেটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
এদিকে আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে মামলার বিবাদী সৈয়দা সৈয়দা রেহানা মিনার গংরা দু’টি ঘর নির্মাণ করছেন। অভিযোগ রয়েছে, দু’পক্ষকে ডেকে নিয়ে ঘর নির্মাণের অনুমতি দেন সদর থানা পুলিশ। আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণ করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অনুমতির বিষয় অস্বীকার করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি অনুমতি দেওয়ার কেউ নই। দু’পক্ষ তাদের উকিল নিয়ে এসেছিলো। তাদের নিয়ে একটি আলোচনা হয়েছে। তবে আমি কোন সিদ্ধান্ত দেইনি।’