ধর্ষণের পর যৌনপল্লীতে বিক্রি!

0
392

খুলনাটাইমস ডেস্কঃবরগুনার তালতলীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের পর যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আবুল কালাম (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি মেনীপাড়া গ্রামের আ. বারেক হাওলাদারের ছেলে ও সখিনা কোস্টগার্ড বোটের মাঝি।ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পারিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোটবগী গ্রামের মৃত মজিবর হাওলাদারের মেয়ে মৌসুমী আক্তার (১৪) সাথে দুই বছর ধরে সম্পর্ক ছিলো আবুল কালামের সাথে। চার মাস আগে ওই মেয়েকে চিকিৎসার কথা বলে পটুয়াখালী নিয়ে যৌন পল্লীতে ৫০ হাজার টাকার বিনিময় বিক্রি করে দেয়।

মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘আবুল কালাম আমাকে পটুয়াখালী যৌনপল্লীর শাহনাজ নামে এক সর্দারনীর নিকট বিক্রি করে দেয়। সে আমাকে শারীরীক নির্যাতনের মাধ্যমে অবৈধ কাজে বাধ্য করে। ১৫ দিন পরে আমি সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসি। এর পর আবুল কালাম আমার সাথে আবার যোগাযোগ করে আমাকে কলাপাড়ায় একটি কুটির শিল্পে প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি করে দেয়। প্রশিক্ষণ শেষে আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আমাকে বিয়ে করতে টালবাহানা করে এবং আমার সাথে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। আবুল কালাম আমার সাথে সম্পর্ক করার সময় আমাকে জানায় সে বিয়ে করেনি। অথচ তার একটি সন্তানও আছে।

মৌসুমী আক্তার আরো বলেন, ‘আবুল কালাম আমাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় রাত্রী যাপন করে। বিষয়টি কোস্টগার্ডের সাবেক সি সি ইউসুফসহ কিছু কোস্টগার্ড সদস্যরাও জানেন। আমি বিষয়টি তালতলী থানার ওসির কাছে জানালে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ দিতে বলেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কালামের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।ভোলার কোস্টগার্ড কার্যালয়ের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মো. নুরুজ্জামান শেখ বলেন, ‘আবুল কালাম কোস্টগার্ড অফিসে দৈনিক হাজিরায় কাজ করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমি গতকাল পেয়েছি, ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।