ধর্ষক ইমন চৌধুরীর বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

0
439

খবর বিজ্ঞপ্তি:
শুক্রবার সকাল ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে ধর্ষক ইমন চৌধুরীর বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগির স্বামী আল-আমিন শেখ ।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ আগষ্ট শিরোমণি চৌধুরী ফার্মেসীর মালিক ইমন চৌধুরীর ভাড়াটিয়া ফাতেমাতুজ জোহরা (নববধূ) শারীরীক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় চৌধুরী ফার্মেসীতে চিকিৎসা নিতে যায়, এসময় ইমন চৌধুরী পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিছু ঔষধ খাওয়ার পর কোন পরিবর্তন না হওয়ায় ঐ দিন রাত সাড়ে ৮ টায় পূনরায় ফার্মেসীতে যায়, সেখানে যাওয়ার পর একটি ইঞ্জেক্শান পুশকরে বাড়ি ফিরে আসে, পরের দিন ২৫ আগষ্ট রাত ১০ টায় শারীরীক অবস্থা আরোও খারাপ হলে পূর্বের ঔষধ গুলি সেবন করতে বলে ইমন। ঔষধ খেয়ে আরোও বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০ টায় ইমন তার বাড়ীর নিচ তলার একটি রুমে থাকতে দেয়। ইমন চৌধুরী তার স্ত্রী প্রিয়াকে নিয়ে তার নিজের রুমে থাকে, গৃহবধূ বেশী অসুস্থ খাকায় উদ্যেশ্য মুলকভাবে দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে বলে। রাত ৩ টায় সুকৌশলে গৃহবধূ ঘুমে থাকা অবস্থায় ঘরে ঢুকে ফাতেমাতুজ জোহরাকে (নববধূ) ধর্ষণ করে। তার আত্মচিৎকারে ইমনের স্ত্রী প্রিয়া আমার মেয়েকে এসে উদ্ধার করে তার রুমে নিয়ে যায় এসময় সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরের দিন ২৬ আগষ্ট সকাল ১১ টায় জ্ঞান ফিরে সে দেখতে পায় দিঘলিয়া উপজেলার ইমনের বড় ভাই হেমায়েত চৌধুরীর বাড়ীতে। পরবর্তিতে তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সে। এসময় তার মা এবং তার স্বামী আল আমিন শেখ তাকে খুজতে থাকি।
দির্ঘ্য ৫ দিন পর তাকে কামার গাতী হেমায়েত চৌধুরীর বাড়ী থেকে আমি এবং তার স্বামী আমার মেয়েকে নিজ বাড়ীতে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এঘটনায় খানজাহান আলী থানায় মোঃ ইমন চৌধুরীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-৭, তাং-২৩/৯/১৯।
কিছু দিন ইমন চৌধুরী পালিয়ে থাকার পরে সে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসে ভুক্তভোগির পরিবারের কাছে ফোন করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। যার প্রমান হিসেবে তার মায়ের কাছে কাছে সকল ফোন রেকর্ড আছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।