দেশ ও জাতির সম্পদ ধ্বংসকারীদের এদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করা হবে : আ’লীগ

0
346

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাÐ করে বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের পাশে মাথা উঁচু করে দাড়াক সেটি বিএনপি চায় না। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ২০১৪ সাল ছিলো বাঙালি জাতির জন্য আরেকটি বিজয়ের বছর। এ বছরে বিএনপি জামায়াতকে সাথে নিয়ে চলন্ত গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে জীবন্ত মানুষকে দগ্ধ করে হত্যা করেছে। তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট সহ হাজার হাজার মানুষের শিল্প প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়ে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছে। বেকার হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। বিএনপি জামায়াতের নির্যাতনে বাংলার মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছিলো। যা ’৭১ এর নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিলো। সেই ক্রান্তিকালকে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা শক্তহাতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করে জাতিকে নিরাপত্তা দিতে সমর্থ হয়েছেন। যারা দেশ ও জাতির নিরাপত্তা বিনষ্ট করবে তাদের এদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি করতে পুনরায় ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রকে শক্তহাতে সাংগঠনিকভাবে দমন করা হবে। নেতৃবৃন্দ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর হাতে গড়া এ দেশ। এদেশের মানুষ ও সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সেজন্যে দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেত্রীত্বে পুনরায় সরকার গঠন করে মানুষের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও সংবিধান রক্ষা করতে হবে। সেজন্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠনকে সুসংগঠিত করে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় বর্ণাঢ্য গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রিয় নেত্রী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি, জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. চিশতি সোহবার হোসেন শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার রায়। মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মফিদুল ইসলাম টুটুলের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, রনজিত কুমার ঘোষ, মুজিবুর রহমান মুজিব, এমরান হোসেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, শেখ হায়দার আলী, কাজী এনায়েতে হোসেন, বিএম সালাম, এ্যাড. সরদার রজব আলী, এমডিএ বাবুল রানা, আবুল কালাম আজাদ কামাল, কামরুজ্জামান জামাল, মকবুল হোসেন মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, শেখ ফজলুল হক, জেড এ মাহমুদ ডন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, অধ্যা মিজানুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, এ্যাড. মো. শাহ আলম, শেখ নুর মোহাম্মদ, শেখ মোশাররফ হোসেন, ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, আলী আজগর মিন্টু, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা সরোয়ার, লুৎফুন নেছা লুৎফা, আবুল কাশেম মোল্লা, আলমগীর সরদার, মনিরুজ্জামান সাগর, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, সরদার জাকির হোসেন, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, শেখ আবিদ উল্লাহ, আব্দুস সাত্তার খলিফা, মোঃ নুর ইসলাম, চৌধুরী মিনহাজ উজ্জামান সজল, মঈনুল ইসলাম নাসির, ফেরদৌস হোসেন লাবু, জাহিদুল হক, নাজমুল আহমেদ স্বপন, চ. ম. মুজিবর রহমান, আব্দুল হাই পলাশ, মুন্সি আইয়ুব আলী, গাজী মোশাররফ হোসেন, শেখ আব্দুল আজিজ, শেখ ফারুক হোসেন, খোন্দকার বাহাউদ্দিন, ইউসুফ আলী খান, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মোঃ জাকির হোসেন, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মোঃ মোতালেব মিয়া, আলহাজ্ব এশারুল হক, মীর মোঃ লিটন, মহাসিনুর রহমান আফরোজ, সরদার আব্দুল হালিম, শেখ মোঃ রুহুল আমিন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মোঃ শিহাব উদ্দিন, সাহেবুর রহমান পিটু মোল্লা, নুরীনা রহমান বিউটি, নুরজাহান রুমি, জাহানারা সিরাজ, বলাকা রায়, মুক্তি রায়, ফেরদৌসী আলম রিতা, শবনম মোস্তারী বকুল, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুর, কনিকা সাহা, মো. আমির হোসেন, এস এম আকিল উদ্দিন, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, শফিকুর রহমান পলাশ, মোর্শেদ আহমেদ রিপন, আব্দুল মালেক, জাহিদুল খলিফা, মামুন কবির কচি, মাহামুদ হাসান তাজু, হাবিবুর রহমান দুলাল, তাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান জিয়া, রোজী এসলাম রোজি, এ্যাড. তমাল কান্তি ঘোষ সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সামবেশ শেষ করে গণ মিছিলটি রূপসা থেকে শুরু করে সাতরাস্তা, ময়লাপোতা হয়ে শীববাড়ি ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।