দেবহাটায় বাস্তবায়নের পথে প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের দূর্যোগ সহনীয় ২৪টি ঘর

0
538

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় বাস্তবায়নের পথে  প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের দূর্যোগ সহনীয় ২৪টি ঘর । এ গুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। বতর্মান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গরীব অসহায় এবং যাদের “জমি আছে, ঘর নাই”এমন পরিবারের ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন। তার স্বপ্ন  এদেশে কেহ গৃহহীন থাকবে না। সে লক্ষে তিনি প্রতি বছর বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। তার ধারাবাহিকতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের দেবহাটায় ৭১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৪০ টাকা বরাদ্দ পায় পিআইও অফিস। যেটি গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টিআর) কর্মসূচীর আওতায়  গৃহহীনদের জন্য দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মান কাজ হিসেবে ২৪ টি গৃহের কাজ চলমান আছে। একাজগুলোর অধিকাংশই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কমিটির নেতৃবৃন্দকে কাজগুলো সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সংশ্লিষ্টরা সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে উপজেলা ভিত্তিক বরাদ্দ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী দেবহাটা উপজেলাতে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মোট ২৪ টি বাসগৃহ নির্মান বাবদ ৭১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৪০ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। যে ঘরগুলোর নির্মান কাজ গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু করা হয়। আর উক্ত ঘর নির্মান শেষ করার জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সময়সীমা নির্ধারন করা হয়। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ৫১.০১.০০০০.০১২.১৬.১৮৮.১৯.৬৪৫ নং স্মারকে ১৭ মার্চ ২০২০ তারিখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উক্ত ঘরগুলো উদ্বোধন করা হবে বলে এক পত্রে জানানো হয়। ইতিমধ্যে মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাসের কারনে সরকার কর্তৃক সকল কাজ বন্ধ ঘোষনা করায় চলমান কাজগুলো স্থগিত হয়ে পড়ে। উপজেলার ২৪টি বাসগৃহের মধ্যে কুলিয়া ইউনিয়নে ৪টি, পারুলিয়া ইউনিয়নে ৪টি, সখিপুর ইউনিয়নে ৬টি, নওয়াপাড়া ইউনিয়নে ৬টি ও দেবহাটা ইউনিয়নে ৪টি বাসগৃহ নির্মান করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সদস্য করে মোট ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপজেলা কমিটি করা হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিটি ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে সভাপতি করে পিইসি কমিটির মাধ্যমে উক্ত বাসগৃহ নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৮টি ঘর নির্মান সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর বাকী গৃহগুলোর কাজ করোনার কারনে বন্ধ থাকায় কিছুটা দেরীতে সম্পন্ন করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে উক্ত গৃহগুলোর ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে আর বাকী কাজ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এছাড়া দপ্তরের অন্যান্য প্রকল্পের সকল উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে এবং তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করা হবে বলে তারা জানান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, প্রতিটি কাজের প্রকল্পের সভাপতিকে সরকারী নির্দেশনা অনুসারে কাজ সমাপ্ত করে বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। যারা যতটুকু কাজ সম্পন্ন করছে তাদেরকে সে অনুযায়ী চলমান বিল প্রদান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার জানান, প্রতিটি কাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তিনি নিজেসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প সভাপতিবৃন্দ তদারকি করছেন। সরকারী নির্দেশনা ও বাসগৃহ নির্মানের ছক অনুযায়ী বাসগৃহগুলো নির্মান করা হচ্ছে। যার কাজে যদি কোন ত্রুটি থাকে তাহলে সেগুলো ঠিক করে তাদেরকে যথানিয়মে বিল প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন প্রতিটি প্রকল্পে তিনি নিজে পরিদর্শন করছেন এবং ইতিমধ্যে ১৮ টি বাসগৃহ তাদের মালিককে হস্তান্তর করা হয়েছে উল্লেখ করে জানান, প্রকল্প (বাসগৃহগুলো) নির্মানের কোন ত্রুটি বা অনিয়মের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত কোন অভিযোগ জানাননি। যদি কোন অনিয়ম থাকে তাহলে অবশ্যই সেগুলো সংশোধন করা হবে। দরিদ্র জনগনের কল্যানে সরকার যে প্রকল্পগুলো দেয় সেগুলো মানসম্মত ও সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক করার জন্য কাজ করা হচ্ছে বলে ইউএনও জানান।