দেবহাটায় সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ

0
393

মীর খায়রুল আলম,দেবহাটা (সাতক্ষীরা): দেবহাটার দক্ষীন সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি্পরিক্ষা ২০১৭ এর প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ্করা হয়েছে।  প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরিক্ষায় দেবহাটা উপজেলার টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৪নং কক্ষে ১৯/১১/২০১৭ হইতে ২৬/১১/২০১৭ ইং তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরিক্ষায় প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলমের পুত্র ফাইম হাসান  পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। যার রোল্নম্বর-১৮০৪। ফাইম হাসানের পিতা বর্তমানে দেবহাটা উপজেলা প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্বজন প্রীতির মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারি হল সুপার নওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক আনোয়ার রেজার যোগ সাজশে তার ব্যবহারিত ০১৯১৪-৬২৯১০৮ এবং তার স্ত্রীর ব্যবহারিত ০১৯৬৫-৪৪৩৮০১ নং মোবাইল থেকে খায়রুল আলমের ব্যবহারিত ০১৯১৭-৬৭৯৪৫৮ অথবা তার স্ত্রীর ব্যবহারিত ০১৭২৪-৪৭৬৪৪৩ নং থেকে প্রশ্ন পত্র জানায়। খায়রুল আলম নিজ বিদ্যালয় বসে অনান্য শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন পত্র সমাধান করে আবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আনোয়ার রেজাকে জানায়। আনোয়ার রেজা
জানার পরে ৪নং কক্ষে অংশ গ্রহণকারী খায়রুল আলমের পুত্রকে উম্মুক্ত কক্ষে উত্তর বলে দেয়। তাদের এসব স্বজন প্রীতি আর পক্ষপাত মূলক ঘৃর্ণ কর্মকান্ড ঐ কক্ষে অংশ গ্রহণকারী অনান্য পরিক্ষার্থীদের মনকে সংকীর্ন  করেছে। অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয় ঐ কক্ষে অংশ গ্রহণকারী পরিক্ষার্থীদের গোপনে জিজ্ঞাসা বাদ করলে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া দক্ষীন সখিপুর সহকারি শিক্ষক বিলকিস নাহারের
ব্যবহারিত মোবা: নং: ০১৭৭৫-৩৯৬৯৫৯ এবং তার ফেসবুক  ও ইমো অনুসন্ধানেও অগ্রিম প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমান মিলতে পারে। এছাড়া ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ হতে ২৬ তারিখ পর্যন্ত উল্লেখিত নম্বর গুলির কল লিস্ট স্পট লোকেশন ভয়েজ রেকর্ড জব্দ করলে অভিযোগের শত ভাগ প্রমান মিলবে বলে জানিয়েছে অভিযোগ কারী। এদিকে বিষয়টি তদন্ত
পূর্বক ব্যবস্থা নিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুতি মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহা পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট
সর্বমোট ১৫টি দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ করেছে অভিযোগ কারী। এব্যাপারে সহকারি শিক্ষক বিলকিস নাহার জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের কাছেই শুনলাম।
সহকারি হল সুপার নওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়াররেজার কাছে জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
এদিকে দক্ষিন সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলমের
বিদ্যালয় যেয়ে এবং ফোনে বার বার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রণব কুমার মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ পত্র প্রাপ্তির সত্যতা স্বিকার করেন এবং বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।