দেবহাটায় ধান বিক্রয়ে লটারীতে অনিয়ম বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ!

0
367

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নে সরকারী ভাবে ধান বিক্রয়ের লটারীতে অনিয়নের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন দপ্তরে লিখত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানাগেছে, সরকার প্রকৃত কৃষকদের ফসলের ন্যার্য দাম দিতে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে। সেখানে কতিপয় কিছু ব্যক্তির কারনে কৃষকরা বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটলে সেটি প্রকাশ্য লটারীর মাধ্যমে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে লটারি করার জন্য কৃষকদের তালিকা তৈরী করে স্থানীয় কৃষি অফিস। এই তালিকায় আসতে হলে কৃষি ভর্তুকি কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট এবং তাকে চলতি মৌসুমের চাষি হতে হবে। এ মোতাবেক উপজেলা খাদ্য কমিটি সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করার পর ৫টি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কর্মকর্তারা প্রকৃত চাষিদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে। পরে সচ্ছতার ভিত্তিতে সকলের উপস্থিতিতে লটারি সম্পন্ন হয়। কিন্তু তাতে নিয়ম বহিরভূত ভাবে নওয়াপাড়া ইউনিয়নে লাটারি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষকদের পক্ষে মৃত বরকত আলীর ছেলে এম আজগার আলী। এতে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের সম্মলিত সুপারিশকৃত স্বাক্ষর রয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, লটারির মাধ্যমে সুবিধাভোগী ঐ ইউনিয়নে ২১০ জনের মধ্যে একটি ওয়ার্ডে ১০৮ জনকে চুড়ান্ত করা হয়েছে। তার বিপরীতে অন্য ওয়ার্ড গুলোতে কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সাথে প্রশ্ন উঠেছে এক ওয়ার্ডে এতজন কৃষকের নাম কি ভাবে উঠে এসেছে। অনিয়ম ছাড়া এক ওয়ার্ড থেকে এতগুলো নাম তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে কৃষকদের অভিযোগ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অসাধু চাতাল মালিকদের জোগসাজশে এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুজ্জামানের অপকৌশলে এ ধরনের লটারী করেছেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কিছু অসাধু ব্যক্তিগণ এধরনের কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কিছু কৃষক। মুুঠোফোনে জাহিদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধের অভিযোগ অস্বিকার করেন।