দেবহাটায় চেয়ারম্যান রতনকে হত্যাচেষ্টায় ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দামসহ গ্রেপ্তার ৩

0
433

মীর খায়রুল আলম, দেবহাটা:
দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতনকে হত্যা চেষ্টার ৬ দিন পরে দেবহাটা থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন আহত চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতনের মা এবং শেখ আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মিনা বেগম (৬৫)। সোমবার রাতে দেবহাটা থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নং- ০২, ধারা- ৩৪১/৩২৬/৩০৭/ ৩৪ দঃ বিঃ, তাং- ০৮-০১-১৭ ইং।
মামলায় এজাহারভুক্ত হিসেবে ৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় এজাহারভুক্ত ১ জন ছাড়াও সন্ধিদ্ধ হিসেবে আরো ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো মামলার এজাহারভুক্ত আসামী দেবহাটা উপজেলার নারিকেলী গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক শহিদুজ্জামান সাদ্দাম হোসেন (২৮) এবং সন্দিদ্ধ আসামী হিসেবে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার মঙ্গলানন্দকাটি গ্রামের শেখ আব্দুল হকের ছেলে শেখ আব্দুল গফুর (২৪) ও তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোড়লের ছেলে শিমুল মোড়ল (২০) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন গত ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মটরসাইকেল যোগে পারুলিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকগজ দুরে সখিপুর টেলিফোন অফিসের কিছুদূর আগে পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে গতিরোধ করে পরপর ৩টি গুলি ছোড়ে। এতে তিনি বুকে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩টি গুলির খোসা ও পাশের বাগানের মধ্য থেকে একজাড়া সেন্ডেল উদ্ধার করে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি অনেক সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন মামলা হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে পুলিশী তদন্ত চলছে। ৩ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অবিলম্বে এই ঘটনার কারন ও বাকী আসামীরা গ্রেপ্তার হবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে সখিপুর কলেজ মাঠের পাশে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রতনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে মারাত্বক ভাবে জখম করেছিল।