দেবহাটায় সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন

0
258

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। ক্রমশ বাড়তে থাকা করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে জেলাব্যাপী চলছে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন। মানুষকে মহামারী থেকে বাঁচাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন কালীন বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও, তা যথাযথভাবে মানছেনা সাধারণ মানুষ।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার ন্যায় দেবহাটাতেও প্রশাসন আরোপিত বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় যানবহন ও মানুষের চলাচল। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকা স্বত্ত্বেও কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছেনা অসচেতন মানুষদের। দেবহাটায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের নিয়মিত ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং লকডাউনে অতিপ্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের না হতে জনসাধারনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাইকিংসহ আপ্রান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। প্রতিদিন সড়কের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট গুলোতে বসছে পুলিশের ব্যারিকেড ও চেকপোষ্ট। তবুও সড়কে বন্ধ করা যাচ্ছেনা মোটর বাইক, ভ্যান, মোটর ও ইঞ্জিন চালিত ভ্যান, ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোসহ অপ্রয়োজনীয় যানবহনের অবাধ যাতায়াত। পুলিশ চেকপোষ্টে এসব অপ্রয়োজনীয় যানবহন আটকে মুল সড়ক থেকে ফিরিয়ে দেয়া হলেও, বিকল্প পথ হিসেবে উপজেলার অভ্যন্তরীন বিভিন্ন সড়কে ফের চলাচল করছে সেসব যানবহন।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব সাহা বলেন, অসচেতন মানুষকে কোনভাবেই ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছেনা। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত লকডাউন বাস্তবায়নে চেকপোস্ট তল্লাশী সহ বাজার ও জনসমাগম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবুও অপ্রয়োজনীয় যানবহন ও মানুষের চলচল ঠেকাতে রীতিমতো পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে সর্বসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি ও আরোপিত বিধি-নিষেধ মানাতে নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার। এছাড়া সার্বক্ষনিক করোনা পরিস্থিতি মনিটরিংসহ করোনাক্রান্তদের বাড়ি লকডাউনেও অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তিনি।
ইউএনও বলেন, শুধুমাত্র প্রশাসনিক প্রচেষ্টায় মানুষকে ঘরে রাখা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এজন্য জনসচেতনতার পাশাপাশি সকলের সহযোগীতাও প্রয়োজন। যারা সরকারি নির্দেশনা ও লকডাউন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তাছলিমা আক্তার।