পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:
পাইকগাছা-কয়রা দু’উপজেলা সিমান্তে পুর্ব শত্রুতার জেরে শুড়িখালী বাজারের ২টি দোকান ঘরের মালামাল রাস্তায় ফেলে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ফৌজদারী সহ দেওয়ানী মামলার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, দু’উপজেলা সীমান্তের হাতিয়ার ডাঙ্গার (শুড়িখালী) বাসিন্দা সুভাষ মন্ডল ১৯৯৩/৯৪ সালে হাতিয়ারডাঙ্গা মৌজার ৪টি দাগে ১ একর ৬৭শতক জমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে শুড়িখালী বাজারের পার্শ্বে ৬১৮ডিপি খতিয়ানের ৩৬২০ দাগের ৪৭ শতক সম্পতি রয়েছে। সুত্র জানায় বাজারস্থ এ দাগের ১শতক জমি সূভাষ মন্ডল বিগত ৯৭ সালে ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে গড়ইখালী ইউপির বাইনবাড়ীয়ার কালীপদ সানার ছেলে কান্তিলাল (কানু) সানার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ডিড করে দিলে এখানে ৩টি দোকান ঘর গড়ে উঠে। এ বিষয়ে সুভাষ মন্ডল জানান, ১৪/২/২০০৫ সালে টাকা দিয়ে কানুর কাছ থেকে ঘরের ষ্ট্যাম্পটি ফেরৎ নিয়ে পরবর্তীতে কানাখালীর অলোক মন্ডল ও পাতড়াবুনিয়ার শিশির মন্ডলকে ভাড়া দেওয়া হয়। সুভায় আরোও বলেন,এর পর কানুর ইন্ধনে একটি পক্ষ বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য ডিসির কাছে আবেদন করলে তদন্ত ও শুনানীন্তে তাদের অভিযোগ না মঞ্জুর হয়। সুভাষ অভিযোগ করেন কানুর বিরুদ্ধে দায়ের করা দেওয়ানী ৭৬/ ১৮ মামলা স্বাক্ষী পর্যায়ে। দখল প্রমানের জন্য রবিবার সকালে লোকজন নিয়ে কানুর স্ত্রী কুড়াল দিয়ে অলোক ও শিশিরের দোকানের স্যাটার ভেঙ্গে মালামাল রাস্তায় ফেলে দোকানে তালা মেরে ত্রাস সৃষ্টি করে এ সময় আমার স্ত্রী উষা রানী বাঁধা দিলে তাকে ভয়ভীতি ও মারপিট করে। সার-কীটনাশক মাছ ও গো খাদ্যর ক্ষয়-ক্ষতির কথা বলে দোকানদার অলোক বলেন, বিগত ৯ বছর ধরে এ ঘরে ব্যবসা করছি এবং কানুর মিথ্যা মামলায় জেলও খেটেছি। ভাংচুর ও ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ এনে সুভাষ মন্ডল কানু দম্পতির বিরুদ্ধে কয়রা থানায় অভিযোগ করেছেন। এ অভিযোগ প্রসঙ্গে কানু সানা বলেন, আমার স্ত্রী অনিমা হাতুড়ী দিয়ে তালা খুলে মালমাল সরিয়ে আলোকদের নামিয়ে তালা ঝুলায় এবং ভাড়ার টাকা না দিলে এ ঘটনা ঘটে বলে তিনি দাবী করেন।