দু’দিনেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত কয়রার জ্যোতিষ মাহাতোর

0
410

খুলনা টাইমস প্রতিবেদক:
কয়রায় ছোট ভাইকে গুলি করে বড় ভাইকে অপহরণের ২দিন অতিবাহিত হলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি অপহৃত জ্যোতিষ প্রসাদ মাহাতোর। তার বাড়ীতে চলছে কান্নার মাতম। অপরদিকে তার ছোটভাই গুলিবিদ্ধ ধীরেশ মাহাতো ঢাকা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন হিন্দু অধ্যুষিত ওই গ্রামের লোকজন রয়েছে ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে। অপহৃতকে উদ্ধারে কয়রা থানা পুলিশের ৫টি টিম সুন্দরবনে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
দুইদিন অতিবাহিত হলেও খুলনার কয়রা উপজেলা সুন্দরবন সংলগ্ন হরিহরপুর গ্রামের অপহৃত যোতিষ মাহাতোর কোন খোজ মেলেনি। অপরদিকে বনদস্যুর গুলিতে আহত হয়ে তার ছোটভাই ধীরেশ মাহাতো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অপহৃত জ্যোতিষের স্ত্রী চায়না রানী মাহাতো স্বামী শোকে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে অঝরে কাঁদছে। গুলিবিদ্ধ ধীরেশ মাহাতোর স্ত্রী কাকলী রানী কান্না জড়ীত কন্ঠে বলেন ওর বাবার শোকে ছোট মেয়েটির জ্বর এসেছে। এ ব্যাপারে অপহৃতের ছোট ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়রা থানায় মামলা করেছে। মামলার আগে সন্দেহ মূলক ভাবে পুলিশ গুলিবিদ্ধ ধীরেশের প্রতিবেশি আকবার খা কে আটক করেছিল। স্থানীয়দের সন্দেহের তীর তার দিকে। অপহৃতকে উদ্ধারে কয়রা থানা পুলিশের ওসিসহ পুলিশের ৫টিম গোটা সুন্দরবনে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কয়রা থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, ২দিন যাবত আমরা গোটা সুন্দরবনে অভিযান চালাচ্ছি, এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি আশা করছি দ্রুত উদ্ধার করতে পারবো। এদিকে বনদস্যুদের ভয়ে ওই এলাকার নারী পুরুষ রয়েছে আতংক ও উৎকন্ঠের মধ্যে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নীলিমা চক্রবর্তী বলেন, পুলিশ ও গ্রামবাসীদের নিয়ে সারারাত গ্রামে পাহারা দিচ্ছি। তবুও আতংক কাটছে না। তিনি সুন্দরবন সংলগ্ন হরিহরপুর গ্রামটিতে স্থায়ীভাবে পুলিশি পাহারা জোরদারের দাবী জানিয়েছেন।